কাটোয়ার দাভিঞ্চি বা আর এক কর্ণ ও অন্য্ মহাভারত
অরূপ মিত্র ,কলকাতা
কত অজানাকে হাজির করেন পেশায় অধ্যাপক অরূপ মিত্র মহাশয় । আদরে বাদাড়ে যে খানে কোনো নেতা মন্ত্রীর নজর পরবে না আমাদের ভ্রাতৃতুল্য অরূপ সেই সব প্রতিদিনের যুদ্ধে হেরে যাওয়া কিন্তু জীবনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে হাসতে হাসতে আবার লেগে পরা মানুষ গুলোর কথাই তুলে ধরেন তিনি, এটাই বুঝি বাংলার ভেঙে পরা লেখাপড়ার শেষ কয়েকজন ব্যাতিক্রমী শিক্ষকের জীবন দর্শন ।
আসুন দেখা যাক কেন শিরোনামে “কাটোয়ার দাভিঞ্চি বা আর এক কর্ণ ও অন্য্ মহাভারত” শব্দবন্ধের ব্যবহার হলো । শোনা যাক অরূপ বাবুর কথায় ।
স্থান……কাটোয়া স্টেশন বাজার।
নাম রবিন ভৌমিক।ওই পথেই ফিরছিলাম একটা কাজের থেকে।হঠাৎ দেখি স্টেশন বাজারে একজন ভদ্রলোক অনেক তরমুজ নিয়ে বিক্রি করছেন।কাছে এগিয়ে গেলাম ,জিজ্ঞাসা করলাম যে দাদা আপনার এই তরমুজের গায়ে এত সুন্দর আঁকা কিসের।উনি বললেন ওই গুলো সবই আমার আঁকা।আমি নিজেও অঙ্কের ছাত্র।তাই আঁকা সম্পর্কে অতটা জ্ঞান আমার নেই।কিন্তু হতবাক হয়ে গেলাম এটা দেখে যে আমরা দেখেছি বা আমরা শুনেছি যে কাগজের উপর বিভিন্ন আঁকা।কিন্তু হতবাক।তরমুজের উপর আঁকা।আমি তার কাছে কৌতহল বশত জিজ্ঞাসা করলাম যে দাদা আপনি একটু এঁকে দেখান না।উনি আমার সামনে নির্দ্বিধায় এঁকে দিলেন।অসাধারণ অসাধারণ ওনার আঙ্গুল।আমি শুধু নীরব হয়ে ওনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
ওনাকে জিজ্ঞাসা করলাম আচ্ছা দাদা আপনি আঁকা শেখান না কেনো।উনি বললেন শেখাই।শেখাই তো যারা অর্থের অভাবে আঁকা শিখতে পারেন না তাদের কে।আর এখন এখানে অনেক অনেক বড় বড় শিল্পী আছেন তারাই আঁকা শেখান।ওনার কথা শুনতে শুনতে কখন চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে গেছে তা আমি নিজেও জানি না।ওনার পরিবারে অনেক সদস্য ।সংসার সঠিক ভাবে চলে না।তাই তরমুজ নিয়ে বিক্রি করতে বেড়িয়েছেন।
সত্যি শিল্পীর কোনো #দিন মৃত্যু হয় না।ওনার এই শিল্প ওনার এই অঙ্কন আমাদের সমাজে ছড়িয়ে পড়ুক যাতে ওনার শিল্পী সত্তা অনেক অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছায়।