নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন গোয়ালদি মসজিদ

0
1144
লোকমান হোসন পলা - নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন গোয়ালদি মসজিদ
লোকমান হোসন পলা - নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন গোয়ালদি মসজিদ
0 0
Azadi Ka Amrit Mahoutsav

InterServer Web Hosting and VPS
Read Time:4 Minute, 5 Second

গোয়ালদি মসজিদ ঐতিহাসিক নিদর্শন

লোকমান হোসন পলা।।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন গোয়ালদি মসজিদ। পৌরসভার গোয়ালদি গ্রামে স্বাধীন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহর আমলে নির্মিত মসজিদটি পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।

এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৫১৯ সালে মোল্লা হিজাবর আকবর খান এ মসজিদ নির্মাণ করেন। সে অনুযায়ী এটি আলাউদ্দিন হোসেন শাহর (১৪৯৪-১৫১৯) রাজত্বকালে নির্মিত। আলাউদ্দিন হোসেন শাহর আমলে বাংলার শিক্ষা, শিল্প ও সাহিত্য উৎকর্ষ লাভ করেছিল।

সোনারগাঁয়ে হোসেন শাহর রাজত্বকালের যেসব শিলালিপি পাওয়া যায়, তার মধ্যে এ মসজিদ-সংলগ্ন শিলালিপি অন্যতম। ভারতের গৌড়, পান্ডুয়া ও বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের ইমারতের মতো এ মসজিদের ভেতর ও বাইরের দেয়ালে পাথর এবং ইটের ওপর আরব্য অলংকরণ লক্ষ করা যায়। এক গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদের চার কোনায় চারটি টাওয়ার রয়েছে। টাওয়ারগুলো সুলতানি রীতিতে তৈরি।

মসজিদটির দেয়ালগুলো ১ দশমিক ৬১ মিটার প্রশস্ত। মসজিদে প্রবেশের জন্য পাঁচটি খিলান পথ রয়েছে। প্রধান প্রবেশপথ বরাবর মূল মেহরাবটি অবস্থিত। এটি কালো পাথরের তৈরি। অন্য দুটি মেহরাব ইটের তৈরি।

এ মসজিদের টেরাকোটা নকশায় যেসব মোটিফ পাওয়া যায়, সোনারগাঁয়ের সুলতান গিয়াস উদ্দিন শাহর প্রস্তরনির্মিত সমাধিতে তা লক্ষ করা যায়। এ মসজিদের পুরু ইটের পৃষ্ঠভাগ টেরাকোটা অলংকরণ রীতিতে খোদাই করা।

২৬ জানুয়ারি সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদটি অযত্ন-অবহেলায় আছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদের ইতিহাসসংবলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে তাতে উল্লেখ করেছে, মোগল আমলে ঢাকায় রাজধানী স্থাপনের আগে সোনারগাঁয়ে বার ভূঁইয়া প্রধান ঈশা খাঁ, মুসা খাঁ ও এর আগের স্বাধীন সুলতানদের রাজধানী ছিল। রাজধানী ও রাজসভার জন্য মনোরম ইমারত ছাড়াও মুসলিম শাসকেরা এখানে মসজিদ, খানকা ও সমাধি নির্মাণ করেন। তার মধ্যে এ মসজিদ অন্যতম।

জানতে চাইলে লেখক শামসোদ্দোহা চৌধুরী বলেন, সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন পুরাকীর্তি পরিদর্শনে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটক এ মসজিদ পরিদর্শন না করে চলে যান, এমনটা কখনো হয় না। সুলতানি আমলের গৌরবোজ্জ্বল মুসলিম ঐতিহ্যের অন্যতম সাক্ষী এ মসজিদ।

সোনার গাঁও প্রতিদিনের সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, ‘এ মসজিদটির কারণে আমরা এলাকাবাসী গর্ববোধ করি। ঐতিহাসিক এ পুরাকীর্তি দেখতে দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা এখানে ভিড় করেন।’

১৯৭৫ সাল থেকে সরকার ঐতিহাসিক এ মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণসহ সার্বিক বিষয়ে দেখভাল করে আসছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর উদ্যোগী হয়ে মসজিদের ইতিহাস সাইনবোর্ড টাঙিয়ে উল্লেখ করেছে, যাতে এর ইতিহাস বিকৃত না হয়।

About Post Author

Editor Desk

Antara Tripathy M.Sc., B.Ed. by qualification and bring 15 years of media reporting experience.. Coverred many illustarted events like, G20, ICC,MCCI,British High Commission, Bangladesh etc. She took over from the founder Editor of IBG NEWS Suman Munshi (15/Mar/2012- 09/Aug/2018 and October 2020 to 13 June 2023).
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Advertisements

USD





LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here