
শান্তির বাণী কয় শয়তানের দূত
সুমন মুন্সী
শুনেছি নাকি মানুষ, পরম মমতায় সৃষ্টি,
সৃষ্টিকর্তা বেজায় খুশি হয়ে, করলেন একি সৃষ্টি।
পৃথিবী জুড়ে আগুন যত জ্বলেনা ক্ষুধা নিভাতে,
তারও বেশি আগুন জ্বলে, জ্যান্ত মানুষ পোড়াতে।
হাজার হাজার বছর ধরে, তৈরী করে সে অস্ত্র,
নিরস্ত্র কে হত্যা করে ,পন্ডিত সাজে পাষন্ড ।
ধর্ম দেখো জিগির তোলে কাফের কারো নিকেশ,
উল্টো দিকেও দাঁড়িয়ে আছে তোমারই নিজের দেশ।
ভাতৃঘাতী মানুষ নাকি সর্বশ্রেষ্ঠ জীব?
প্রেমের দেশে জন্মে দেখো,
হত্যায় করে হাত নিশপিশ,
এ কেমন জাতির জনক তুমি দাঁড়িয়ে থাকো একলা?
নবীর মানে আঘাত করে, কোন নির্বোধ বিদ্বেষ বিষ ছড়াতে,
নবীজীর অসস্মানে কার সম্মান বাড়বে?
হাজার বছর ধরে শুধু তরোয়াল কেন চলে?
কলম কি ভাই শুকিয়ে গেছে নতুন কিছু গড়তে ?
নিরীহ জীব হত্যা করে, কেউ কেয়ামতে কি ছাড় পাবে?
প্রতিবাদের ভাষায় যদি, নতুন প্রতিবাদ জন্মে,
তবে যুক্তি তক্কো বিদ্যাশিক্ষা,
সবই ধূলায় মিশে সেই অপকর্মের আগুনে।
দেশ জুড়ে আজ জিহাদি জঙ্গী রাজত্ব কেন করে?
আইনের কি এতো সমস্যা, নিরীহ প্রাণ বাঁচাতে ?
ধান্দাবাজ আর দাঙ্গাবাজ, নয় কোনো শান্তির দূত,
রাজনীতির নানা রং মেখে হাজির, সব শয়তানেরই দূত ।
জঙ্গী জীবন বাঁচাতে যদি মাঝরাতে আদালত বসে,
সেই আদালত নীরব কেন দেশ মা কে বাঁচাতে ?
হাত জুড়ে আর ভিক্ষা চেয়ে শাসন নাহি হয়,
দুষ্ট দমন শিষ্ট পালন এটাই রাজার ধর্ম কথক সুমন কয়।
দেশবাসী আজ শিহরিত আগামী দিন ভেবে,
রাম রহিম কেউ বাঁচে না, দাঙ্গাবাজেরই হাতে।
শক্ত হাতে শাসন কারো, দুষ্টের তোয়াজ নয় তো রাজধর্ম,
অধিক মমতায় ছেলে যে হয়,নষ্ট ।
জাতি যখন উন্মত্ত, অবাধ্য তাঁর নীতি,
কেমন করে রাজা দেখো চুপচাপ বসে হতাশ সাজে,
সে কাজ কি,কোনো অভিভাবকেরই কর্ম?
মানুষ আবার মানুষ হয়ে ওঠো,হানাহানি নয় ধর্ম।