পর্যটন মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় দপ্তর এবং ১০০ মাইলস-এর উদ্যোগে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে আজাদ হিন্দ বাইসাইকেল র্যালির আয়োজন
By PIB Kolkata
কলকাতা, ৫ জুলাই, ২০২২
‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের কলকাতাস্থ পূর্বাঞ্চলীয় দপ্তর ১০০ মাইলস-এর সহযোগিতায় আজ ‘আজাদ হিন্দ বাইসাইকেল র্যালি’র আয়োজন করেছে। ১৯৪৩ সালের আজকের দিনে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন এবং দেশবাসীকে ‘দিল্লি চলো’ স্লোগানে উদ্বুদ্ধ করেন। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্লেমেন্ট অ্যাটলি বলেছিলেন, বৃটিশদের ভারত ছাড়ার অন্যতম কারণ নেতাজীর যুদ্ধ ঘোষণা।
নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু-র নেতৃত্বে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এই সাফল্য উদযাপনের জন্য কলকাতার রেড রোডে অবস্থিত ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ স্মারক থেকে ব্যারাকপুরের কাছে নীলগঞ্জে আজাদ হিন্দ ফৌজ স্মারক পর্যন্ত আজ এই সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়। ১০ জন সাইকেল আরোহী র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
বৃটিশ সেনাবাহিনী নীলগঞ্জ, বারাসাত, এবং অধুনা বাংলাদেশের যশোরের ঝিকরগাছা ক্যাম্পে আজাদ হিন্দ বাহিনীর আটক সৈন্যদের রাখত। ১৯৪৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ক্যাম্প সন্নিহিত গ্রামগুলির বাসিন্দারা মেশিন গানের আওয়াজে বিনিদ্র রজনী কাটান। দিনের আলো ফুটতে তাঁরা দেখেন যে বৃটিশ সৈন্যরা সামরিক বাহিনীর ট্রাকে যুদ্ধ বন্দীদের দেহগুলি পাচার করছে। তখনও অনেক দেহ থেকে রক্ত ঝরছিল। কর্নেল জি এস ধিলোঁর ডায়েরি অনুযায়ী সেই রাতে প্রায় ২,৩০০ আজাদ হিন্দ বাহিনীর যোদ্ধা প্রাণ হারান। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের সহকারী নির্দেশক শ্রী সায়ক নন্দী জানান, মন্ত্রক স্বাধীনতা সংগ্রামের কম আলোচিত অধ্যায়গুলিকে তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে মন্ত্রক এই সাইকেল র্যালির আয়োজন করে। পূর্বাঞ্চলীয় দপ্তর সিপাহী বিদ্রোহের অগ্নিহোত্রী শহীদ মঙ্গল পাণ্ডেকেও শ্রদ্ধা জানিয়েছে। শ্রী নন্দী আরও বলেন, ব্যারাকপুরের নীলগঞ্জে আজাদ হিন্দ বাহিনীর স্মারক সম্পর্কে বিদেশি পর্যটকদের জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নেতাজী গবেষক শ্রী তমাল সান্যাল ১৯৪৫-এর ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে নীলগঞ্জ গণহত্যার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি তুলে ধরেন। তিনি জানান, সেই হত্যাকান্ডে কতজন শহীদ হয়েছেন সেই সংখ্যা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।
PG/CB/DM