আন্তর্জাতিক সীমান্তে তল্লাশি অভিযানের সময়, বন্দুকধারী চোরাকারবারিরা বিএসএফ জওয়ানদের উপর গুলি চালায়, চোরাকারবারীর গুলিতে এক জওয়ান গম্ভীর ভাবে আহত
(জেলা- নদীয়া)
আন্তর্জাতিক সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ সীমান্তে চোরাচালান ও অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চোরাচালানের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে, বিএসএফ থানা- চাপড়া, জেলা নদিয়ার অন্তর্গত গ্রাম-সিকরি কলোনীর একটি বাড়িতে মাদক ও সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্স অ্যাক্ট (এনডিপিএস অ্যাক্ট) এর অধীন ফেনসিডিলের একটি বিশাল চালান সম্পর্কে তথ্য পায়।
বিএসএফের টহল দল ০৮ আগস্ট, ২০২২ তারিখের প্রায় ১৬০০ ঘটিকায় উল্লিখিত স্থানে পৌঁছে। তার পর বিএসএফ সদস্যরা গ্রামের সদস্য ও বাড়িওয়ালার ভাইকে ওই বাড়ির ভেতরে নিয়ে যায়। কিন্তু সেই সময়ে সুযোগ পেয়ে বাড়িওয়ালা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তল্লাশির সময় বিএসএফ দল ২০- ২১ বস্তা ও কার্টনে প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিলের বোতল উদ্ধার করে। তল্লাশি চলাকালীন ১৫-২০ মুখোশধারি চোরাকারবারি দেশীয অস্ত্র ও বন্দুক দিয়ে বিএসএফ দলের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। বিনিময়ে, বিএসএফ দল সক্রিয় হয়ে ওঠে, কিন্তু মহিলা ও শিশুদের উপস্থিতির কারণে চোরাকারবারীদের উপর গুলির জবাব দেয়নি। সশস্ত্র চোরাকারবারীদের গুলিতে একজন বিএসএফ জওয়ান সতীশ কুমার গুরুতর আহত হন এবং সঙ্গে সঙ্গে তাকে চাপড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তার অবস্থা গম্ভীর বলে জানা গেছে। সশস্ত্র চোরাকারবারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। যাওয়ার সময় বিএসএফ দ্বারা বাজেয়াপ্ত ভারী মাত্রার ফেন্সিডিল উঠিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বিএসএফ থানা-চাপড়ার স্থানীয় পুলিশকে অবিলম্বে এনডিপিএস আইন এবং হত্যার চেষ্টা ও অস্ত্র আইনের পৃথক দুটি মামলা নথিভুক্ত করে চোরাকারবারিদের গ্রেপ্তারের অনুরোধ করেছে।