ফিফার কালো পতাকা কে ভুলে ১৩১তম ডুরান্ড শুরু হল বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, কলকাতায়
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও সেনানায়ক কালিতা সহ নানা বিশিষ্ট জনের উপস্থিতিতে আয়োজিত হলো এক বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
অন্তরা ত্রিপাঠী
সারা ভারত যখন চিন্তিত ফিফার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ঠিক তখনই শুরু হলো ১৩১তম ডুরান্ড কাপ কলকাতায় । উদ্বোধনী ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও ৩-১ গোলে কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিং হারাল এফসি গোয়া ISL দল কে। অনবদ্দ্য সেই উদ্বেল আবেগ আর ঐতিহ্যের লড়াইয়ে মহামেডান যেন ১৯৪০ এর সেই বাঘের মতো আর বিপরীতের পর্তুগিজ উপনিবেশের ইতিহাসের গন্ধ মাখা এফসি গোয়া যেন ইয়র্কশায়ার দল ।
ম্যাচ জুড়ে শুধুই সাদা কালো প্যান্থারদের দৌড়। মহামেডানের দ্বিতীয় ভাগের খেলা প্রশংসার দাবি রাখলেও, প্রথম অর্ধ্যে সুযোগ নষ্ঠের এই কাহিনী বাকি ম্যাচে চালু থাকলে, মহামেডানের কপালে দুঃখ নিশ্চিত।
ফিনিশারের অভাবে প্রথম অর্ধ নষ্ট হলো আর সেই সুযোগে গোয়া ১-০ তে, এগিয়ে গেলো, কাউন্টার attack সেটপিস মুভ থেকে ।
মহামেডানের হয়ে গোল করেন মার্কাস জোসেফ,ফাসলু রহমান ও প্রীতম সিং আর এফসি গোয়ার হয়ে গোল করেন মহম্মদ নেমিল ।
কলকাতা আর গোয়া ফুটবলের দুই সেরা শহরের মাঝে লড়াই দিয়ে শুরু হলো এবারের ডুরান্ড কাপ । বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও সেনানায়ক কালিতা সহ নানা বিশিষ্ট জনের উপস্থিতিতে এক বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে।
ভারতীয় সেনার অনুষ্ঠানে পাপনের অনবদ্য ডুরান্ড থিম সংগীত পরিবেশন প্রশংসার দাবি রাখে। শুধু একটাই আপসোস, ভারতীয় সেনার অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের অভাব, এই টুর্নামেন্টের গরিমার পক্ষে যথাযত নয় । আশা করবো ডুরান্ড ও সেনার অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের পরিবেশন অনিবার্য হবে আগামীদিনে।
রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে খেলার মাঠ কলুষিত হচ্ছে বলে ফিফার অভিযোগ কে নিবারণ করতে হলে, আগামীদিনে প্রাক্তন দিকপাল ফুটবলারদের হাতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হোক । এতে খেলার সম্মান বাড়বে ও কালিমায় লিপ্ত হবার সম্ভাবনা কমবে ।
যাই হোক আগামী একমাস উত্তরপূর্ব ভারত সহ গোটা দেশ মেতে উঠুক এই শতাব্দী প্রাচীন ফুটবলের মহাযজ্ঞে ।