বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের মোটর সাইকেল শোভাযাত্রার কৃষ্ণনগরে উষ্ণ স্বাগত জানানো হল।
(জেলা-মালদা)
এই বছর ১৫ আগস্ট, ২০২২ তারিখে দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপন করছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী এই উপলক্ষে ধারাবাহিক কর্মসূচির আওতায় সীমান্তে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রার আয়োজন করছে।
এই শোভাযাত্রাতে ৩০ জন মোটরসাইকেল আরোহী (জানবাজ মোটরসাইকেল দলের ১৫ জন পুরুষ এবং ভবানী মোটরসাইকেল দলের ১৫ জন মহিলা) অংশ নিচ্ছেন। এই শোভাযাত্রা ১৫ দিনে তার যাত্রা শেষ করবে। এই শোভাযাত্রা দেশের ০৭ টি রাজ্য মেঘালয়, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ এবং দিল্লির এলাকা দিয়ে যাত্রা করবে। শোভাযাত্রাটি শিলং থেকে শুরু হয়ে গুয়াহাটি, ধুবরি, শিলিগুড়ি, মালদা, কৃষ্ণনগর, কলকাতা, দুর্গাপুর, হাজারীবাগ, বারাণসী, আগ্রা হয়ে দিল্লি পৌঁছাবে।

০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে ডক্টর লজ্জা রাম বিষ্ণোই আইপিএস, ডিজিপি মেঘালয়, আঞ্চলিক সদর দফতর শিলং থেকে শ্রী ইন্দ্রজিৎ রানা, ইন্সপেক্টর জেনারেল, ফ্রন্টিয়ার হেডকোয়ার্টার মেঘালয় এবং বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শত শত স্থানীয় লোকের উপস্থিতিতে এই মোটর সাইকেল শোভাযাত্রাটিকে পতাকা দেখিয়ে রওয়ানা করেন।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখের ১৯০০ টায়, আঞ্চলিক সদর দফতর কৃষ্ণনগরে এই মোটর সাইকেল শোভাযাত্রাকে শ্রী সঞ্জয় কুমার, ডিআইজী কৃষ্ণনগর দ্বারা জোরদার স্বাগত করা হয়। জনগণ এই শোভাযাত্রাকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বলে আখ্যায়িত করে এর বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। শোভাযাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে ৮২ ব্যাটালিয়নের পরিচালনায় বাহিনী মুখ্যালায় সিমানগরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । আজ সকালে মোটর সাইকেল জানবাজ দ্বারা বাচ্চাদের সামনে স্টান্ট প্রদর্শন করার পর শ্রী সঞ্জয় কুমার, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, আঞ্চলিক সদর দফতর কৃষ্ণনগর দ্বারা ১০৩০ টায এই শোভাযাত্রাটিকে পরবর্তী গন্তব্যের (কলকাতা) জন্য পতাকা দেখিয়ে রওয়ানা করেন।
এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য হলো স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন এবং এর গৌরবময় ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য উদযাপনের জন্য ‘আজাদী কা অমৃত মহোৎসব’ এর উদ্যোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। এই মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাতে মাদক এবং চোরাচালান বিরোধী সচেতনতা এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ও অন্যান্য বাহিনীতে যুবকদের যোগদানের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। দেশের স্কুল শিশু এবং যুবকদের সাথে মতবিনিময় করে,শোভাযাত্রাটি বিশ্বের বৃহত্তম সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী- বি এস এফ এর ভূমিকা ও কার্যাবলী সম্পর্কে তাদের সচেতনতা বাড়াবে।
