সাংবাদিক কে খুনের হুমকি মদ্যপ তৃণমূলের দুস্টু ছেলে রানাভুটিয়া পঞ্চায়েত এর তৃনমুল এর উপপ্রধান প্রবীর সরকারের ভাই শ্যামল সরকারের
কলকাতা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২:
সাংবাদিক অনির্বান চক্রবর্তী কে খুনের হুমকি দিলেন এবং হেনস্থা করলেন তৃণমূলের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত রানাভুটিয়া পঞ্চায়েত এর তৃনমুল এর উপপ্রধান প্রবীর সরকারের ভাই শ্যামল সরকার ।
“ছোট্ট ঘটনা কিছু দুস্টু ছেলের কাজ এতো বিচলিত হবার কিছু নেই, প্রশাসন বিষয় টি দেখছেন।” , “বিরোধীদের চক্রান্ত, তৃণমূলকে কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা”, “এর পিছনে অন্য ষড়যন্তের গন্ধ পাচ্ছি” না এমন কোনো দৈব বাণী এখনো আসেনি।
অল ইন্ডিয়ান রিপোর্টার এসোসিয়েশনের সদস্য সাংবাদিক অনির্বান চক্রবর্তী কে গতকাল হেনস্থা করলো তৃণমূল পঞ্চায়েত উপপ্রধানের ভাই
বাংলার লুম্পেন সংস্কৃতির আদর্শ ধারক ও বাহক তৃণমূল গুন্ডা বাহিনী?
সাংবাদিক আক্রান্ত ইটা এখন বাংলার আদর্শ । ঘন্টা খানেক চিৎকার করার খোরাক আর নয়, বিজ্ঞাপন বারো বালাই তাই সত্যি বলতে ভয় পায় সবাই ।
বিষয় টি কি জেনে দেখুন ।
এক নিদারুণ ঘটনা দেখলো আজ (১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, রাত ) স্থান নেতাজি সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাছে একটি ছোট চায়ের দোকানের সামনে।
সেখানে রানাভুটিয়া পঞ্চায়েত এর তৃনমুল এর উপপ্রধান প্রবীর সরকারের ভাই, এক অসহায় বয়স্ক ম্যাটাডোর গাড়ির ড্রাইভারকে পশুর মতো মারছিলো এবং সেই মারপিটে বেকার যুবকের দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিলো ।
সেখানে এক চায়ের দোকানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক অনির্বাণ চক্রবর্তী। । অমানবিক এই মারের প্রতিবাদ করাতে চুড়ান্ত হেনস্তার শিকার হতে হয়। “খানকীর ছেলে গলা গালি” সহ্ শারীরিক নিগ্রহ হয় এবং খুনের হুমকি দেয়া হয় ।
একজন সাংবাদিক এর অন্যায়ের প্রতিবাদের পরিবর্তে কি এই রাজ্যে কি এটাই প্রাপ্য?
অন্তত ১০০ সাধারণ মানুষ বিষয় টি দেখেছে। তারমধ্যে কারোর কারোর সাথে আমাদের আই বি জি নিউস এর কথাও হয়। ধন্যবাদ জানাই এলাকার মানুষ কে খুনের হুমকির মুখে অনির্বাণ কে বাঁচানোর জন্য।
কিন্তু প্রশ্ন একটাই এর বিহিত কি? এই রাজ্যের লুম্পেন দের রক্ষা করিদের বিচার কে করবে।
বিষয়টিকে অল ইন্ডিয়ান রিপোর্টার এসোসিয়েশনের তরফে উপযুক্ত ব্যাবস্থার জন্য প্রসাশনিক ও মানবাধিকার দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে বলে জানালেন মুখ্য সম্পাদক অল ইন্ডিয়ান রিপোর্টার এসোসিয়েশন। ইতিমধ্যে দিল্লির প্রধান দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যের জেনারেল সেক্রেটারি । তিনি আরো বলেন “রাজ্যের সাধারণ মানুষের দুর্গতি ও নিরাপত্তা ব্যাহত ক্ষমতাবানের হাতে এটা গণতন্ত্রের পক্ষ্যে চিন্তার কারণ । লুম্পেন রা যদি নিজেদের ক্ষমতার অলিন্দে নিরাপদ বোধ করে তবে এ ক্ষুধিত পাষানের কান্না কে শুনবে ?”
দুঃখের বিষয় হয়তো তৃণমূলের অনেক নেতাই জানেন না এই সব দুস্টু ছেলেদের জন্য দলের ভাবমূর্তি কতটা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে জনমানসে ।
সাধারণ মানুষ সহ সকল শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন প্রশাসনিক ও নাগরিক সমাজের কাছে আবেদন বাংলা কে এই লুম্পেন দের হাত থেকে রক্ষা করুন ।
আর তৃণমূলের ভার্সন ২.০ আশা করি এই লিগেসি ত্যাগ করবে নতুন কলেবরে। সময় বলবে বাংলা কি পেলো আর কি পেতে পারতো ।