প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. গৌতম পাল নিজেই ছয়টি পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিলেন
ফারুক আহমেদ
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. গৌতম পাল নিজেই ছয়টি পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিলেন এদিন টেট পরীক্ষা সফল করতে। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সফল করতে তিনি কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশাসনকে। ছয়টি জেলায় নেট কানেকশনও বন্ধ রাখতে বলেছিলেন। এদিন প্রেসের সামনে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী শ্রী ব্রাত্য বসুকে। এছাড়াও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন, টেট পরীক্ষা সমূহের সঙ্গে যুক্ত সকল সদস্যকেই।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব নিয়েই টেট পরীক্ষা সফল করতে তিনি দৃঢ় সংকল্প বাস্তবায়িত করলেন। রাজ্য সরকারের মুখ উজ্জ্বল করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. গৌতম পাল।
রবিবার প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে নির্বিঘ্নে। রাজ্যজুড়ে প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিলেন। পরীক্ষা ঘিরে আঁটোসাঁটো ব্যবস্থার আয়োজন করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা ঘিরে যেকোনও প্রকার অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে সচেষ্ট ছিল রাজ্য সরকার। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে এবং ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে মানুষ মন জয় করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে টেট পরীক্ষা হয়েছে একটা গণ উত্সবের মতো, এমনই দাবি করলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী শ্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বললেন, “টেট ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। একটা ‘ধারণা’ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল আমাদের দফতর নিয়ে। আশা করি আজকের এই পরীক্ষা একটা বার্তা দেবে তাদের জন্য। শুধু তাই নয় সাধারণ মানুষ ও পরীক্ষার্থীদের জন্যও ইতিবাচক বার্তা দেবে আজকের পরীক্ষা।”
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আরও বললেন, “এটা একটা গণ উত্সবের মত হয়েছে। একটা দল চেষ্টা চালাচ্ছিল যাতে আমাদের পরীক্ষা বানচাল হয়। একদল সত্যি চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যে ভাবে পরীক্ষা সংগঠিত হয়েছে তাতে তাদের কাছেও বার্তা পৌঁছবে বলেই দাবি করলেন, মাননীয় উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি খারিজ করে দিলেন শ্রী বসু। তিনি বললেন, “কোনও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, কোনও প্রশ্নপত্র লিক হয়নি।…. সবাই হয়তো চাকরি পাবেন না। এটা আজ আমাদের একটা প্রাথমিক পদক্ষেপ হল। নিয়োগের ব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপে আমরা যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেব।
প্রাথমিকের টেটকে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল পর্ষদ সভাপতি অধ্যাপক ড. গৌতম পাল। বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স, মেটাল ডিটেক্টর, ফ্রিস্কিং সহ করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল পর্ষদ। প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন এই পরীক্ষার জন্য। শেষপর্যন্ত ভালো ভাবেই সম্পন্ন হল।
রবিবার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যাতে সুষ্ঠুভাবে টেট নিতে না পারে, পরীক্ষা বানচাল করা যায়, তার অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কড়াহাতে পর্ষদ সেই বিপত্তি এড়িয়ে পরীক্ষা নিল। যা সফল। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি মিথ্যে বলেই জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়টিতে নজর রাখছেন। একটি ভুয়ো প্রশ্ন ঘুরছিল, কার প্ররোচনায় জানি না। এটি প্রমাণিত হয়েছে, সম্পূর্ণ ভুয়ো প্রশ্ন। নানান ভাবে পরীক্ষাকে বানচাল করার চেষ্টা হয়েছে। পরীক্ষাকে পিছিয়ে দেওয়ার, ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সেগুলিকে অতিক্রম করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ খুব সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নিতে পেরেছে, এটি খুব আশাব্যাঞ্জক।’