ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সম্মেলনে চাতক পুরস্কার ২০২২ পেলেন সোনিয়া তাসনিম
নবাবের দেশ মুর্শিদাবাদ। পলাশী যুদ্ধের করুণ বিউগলের সুর এখানে আজও নীরবে শনশন শব্দে বেজে যায় সবুজ আম্রপল্লবের ছায়৷ এই সেই রাজ্য, যেখানে অস্তমিত হয়েছিল বাংলার আকাশ শাসন করা পরাক্রমশালী রক্তিম ললাটধারী স্বাধীনতার প্রভাকর। এক বেদনাবিধূর পরিণতির মধ্য দিয়ে পরাধীনতার শেকলে বন্দী সবিতা তার অশ্রুসিক্ত বদন নামিয়ে নিয়েছিল নিভৃতে। বেদনা বিজড়িত সেই ঐতিহাসিক শহরের লালবাগে গত ১৭-১৮- ই ডিসেম্বরে গঙ্গার আঁচল ঘেঁসে থাকা অশোক মহলে অনুষ্ঠিত হল, ঐতিহ্যেবাহী সাহিত্য সংস্কৃতি ও সমাজ গবেষণা বিষয়ক পত্রিকা চাতকের ২২ বর্ষের সমাপ্তি হল ৮ম বার্ষিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। সমৃদ্ধ এই আয়োজনে সামিল হয়েছিলেন দেশ বিদেশের কবি, সাহিত্যিক, গবেষক, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, বুদ্ধিজীবী সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
পত্রিকার মুখ্য উপদেষ্টা খাজিম আহমেদ এবং সম্পাদক শেখ মফেজুলের নিরলস প্রচেষ্টায় দাঁড়িয়ে থাকা এই ফাউন্ডেশনটি বরাবরই বৃহত্তর সমাজ এবং বাংলা সাহিত্যের জন্য অনন্য অবদান রেখে চলেছে সুদীর্ঘ সময় ধরে। প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানটির সূচনা হয় সম্পাদক শেখ মফেজুলের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় এবং পরবর্তীতে এতে গতি এনে দেন এলাকার স্বনামধন্য চিকিৎসক সাহিত্য অনুরাগী জনাব আবুল কালাম আজাদ। দুদিন ব্যাপী চলা এই আয়োজনে সম্মানিত করা হয় দুই বাংলার অসংখ্য গুণী কবি সাহিত্যিকদের।
প্রথম দিন চাতক সম্মানান ২০২২ প্রদান করা হয় সোনিয়া তাসনিম খান (বাংলাদেশ) এস এম নিজামুদ্দিন (ভারত), অপূর্ব কুমার সেন, মৌলানা নিজামুদ্দিন বিশ্বাস, মোকতার হোসেন, নিয়াজুল হক, রাফিয়া সুলতানা, মাইনুদ্দিন সেখ, সহ মোট ১৩ জনকে চাতক সাহিত্য সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
দ্বিতীয় দিন চাতক পুরস্কার ২০২২ প্রদান করা হয়, ড. আসরফী খাতুন (ভারত) ড. মহঃ মুনকির হোসেন (ভারত), জহির উল ইসলাম (ভারত), আব্দুস সামাদ, (ভারত)।
সমীরণ খাতুন, সরফরাজ আলি, নাদিরা খাতুন, ইমতিয়াজ কবির, বিশ্বজিত মন্ডল, প্রদীপ হালদার এমন সব গুণী কবিদের কন্ঠে বেজে যাওয়া কবিতার ছন্দ গঙ্গার বাতাসকে করে তোলে দারুণ ভাবে আলোড়িত। উপস্থিত গুণীভাজনদের বক্তব্যে বাংলা সাহিত্যের নতুন স্বর্ণালি যুগের গোড়াপত্তনের প্রত্যয়ের ঈঙ্গিত পাওয়া যায় অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভাবে।