উদার আকাশ লিটল ম্যাগাজিনের টেবিল থেকে বড় স্টলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায়
ফারুক আহমেদ
উদার আকাশ লিটল ম্যাগাজিনের টেবিল থেকে বড় স্টলে নিয়েছে ২০২৩ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায়। উদার আকাশ স্টল নম্বর হচ্ছে ৬৪৮ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায়। বইমেলা বাঙালির জাতীয় উৎসবে পরিনত হয়েছে। জেলায় জেলায় প্রতিনিয়ত আয়োজন হচ্ছে জেলা বইমেলা। পাড়াময় আয়োজন হচ্ছে বইমেলা। ২০০২ সাল থেকে প্রকাশিত হচ্ছে নিয়মিত উদার আকাশ পত্রিকা। উদার আকাশ প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে বেশ কিছু সাড়া জাগানো গবেষণা গ্রন্থ। ‘বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম’ আমার সম্পাদনা গ্রন্থটি বাঙালি পাঠক দরবারে সমাদৃত হয়েছে বিপুল সংখ্যক। বাঙালির ঘরে ঘরে সাহিত্যের আলো পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর হয়েছে উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশন সংস্থা। উদার আকাশ জুড়ে কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে চর্চা বিশেষ দাগ কেটেছে গবেষক দরবারে। উদার আকাশ কেবল পত্রিকা নয়, উদার আকাশ আত্মমর্যাদার অভিজ্ঞান। উদার আকাশ কেবল স্লোগান নয়, উদার আকাশ সুস্থ সমাজ গড়ার অঙ্গীকার। উদার আকাশ প্রকাশন সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে বহু মানুষের মন জয় সুনিশ্চিত করার মতো কিছু মূল্যবান গ্রন্থ। আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় ৬৪৮ নম্বর স্টলে আসুন, আজই সংগ্রহ করুন উদার আকাশ প্রকাশনের গ্রন্থ। সমৃদ্ধ হবেন পড়ে। মনের আকাশ জুড়ে জেগে থাক উদার আকাশ।
পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় আয়োজিত একটি বার্ষিক আন্তর্জাতিক বইমেলা। এই মেলাটি কলকাতা বইমেলা নামেই সমধিক পরিচিত। ১৯৭৬ সালে প্রবর্তিত এই বইমেলা ১৯৮৪ সালে আন্তর্জাতিক বইমেলার স্বীকৃতি অর্জন করে। বর্তমানে জানুয়ারি মাসের শেষ বুধবার বারোদিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন হয়। মেলার বর্তমান আয়োজনস্থল বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্ক। ২০২৩ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি স্পেন। এবছর আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা হচ্ছে ১৪ দিন। তিরিশ জানুয়ারি ২০২৩ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হাজির ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা জমে উঠেছে। বইয়ের মেলা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত। করোনা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় মানুষের ভিড়ে বিক্রি হয়েছে বেশ ভালো। রবিবার ও শনিবার সব থেকে বেশি মানুষ এসেছেন বইমেলায়।
কলকাতা বইমেলা বিশ্বের বৃহত্তম অবাণিজ্যিক বইমেলা।ফ্রাঙ্কফুর্ট বা লন্ডন বইমেলার মতো কলকাতা বইমেলায় গ্রন্থপ্রকাশনা, পরিবেশনা ও অনুবাদ সংক্রান্ত চুক্তি বা ব্যবসাবাণিজ্য চলে না। বরং প্রকাশক ও পুস্তকবিক্রেতারা সাধারণ মানুষের কাছে তাদের প্রকাশিত অথবা পরিবেশিত বইয়ের প্রচার ও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে এই মেলায় যোগ দিয়ে থাকেন। কলকাতার সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এই মেলা একটি বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী। বর্তমানে বইমেলাকে ‘বাঙালির চতুর্দশ পার্বণ’ বলে অভিহিত করা হয়।
কলকাতা বইমেলা আন্তর্জাতিক বইমেলা হলেও মেলার সিংহভাগ জুড়ে বাংলা বইয়ের বিক্রিই বেশি হয়। তবে প্রচুর ইংরেজি গ্রন্থ প্রকাশক ও বিক্রেতাও এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া হিন্দি, উর্দু, সংস্কৃত ইত্যাদি অন্যান্য ভারতীয় ভাষার বইও এই মেলায় পাওয়া যায়। বিদেশি দূতাবাসগুলিও স্টল বা প্যাভিলিয়ন সাজিয়ে নিজ নিজ দেশে প্রকাশিত বইপত্রের প্রদর্শনী করে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও ভারত সরকারের বাংলা প্রকাশনা বিভাগগুলিও এই মেলায় অংশ নিয়ে থাকে। এছাড়াও ফ্রাঙ্কফুট বইমেলার আদলে প্রতি বছর মেলায় অংশগ্রহণকারী একটি বিদেশি রাষ্ট্র ‘ফোকাল থিম’ ও অপর একটি রাষ্ট্র ‘সম্মানিত অতিথি রাষ্ট্র’ নির্বাচিত হয়। ২০২৩ সালের ৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলার ফোকাল থিম ও সম্মানিত অতিথি রাষ্ট্র হল স্পেন।
কলকাতা বইমেলায় বই ক্রয়বিক্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে আয়োজিত হয় বিভিন্ন অণুষ্ঠান, সেমিনার, পদযাত্রা, প্রতিযোগিতা ও গ্রন্থ প্রকাশ অণুষ্ঠান। উল্লেখ্য, বইমেলার সময়ই প্রকাশকেরা তাদের নতুন বই প্রকাশ করে থাকেন।গ্রন্থসম্ভারের পাশাপাশি চিত্রশিল্পী, শিশু, তথ্যপ্রযুক্তি ও লিটল ম্যাগাজিনের জন্য বিশেষ চত্বর নির্ধারিত থাকে। কলকাতা বইমেলা বর্তমানে কলকাতার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মেলা। এই মেলার সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও ভারতের অন্যান্য স্থানে বাংলা বইয়ের মেলা চালু হয়েছে।
বিশ্বের সেরা বৈচিত্র্যময় বইমেলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। বই নিয়ে মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পেরেছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। বইয়ের মেলাতে প্রতিদিন আলোচনা ও বই প্রকাশকে ঘিরে দর্শকদের মধ্যে একটা উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যায়। ২৩ থেকে ২৪ লক্ষ মানুষ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় আসেন মেলার শেষ দিন পর্যন্ত হিসেবে। আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ঘিরে গিল্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হয় অফুরন্ত। সারা বাংলা জুড়ে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ঘিরে দর্শকদের মধ্যে একটা উৎসব আয়োজন সার্বিক সার্থকতা পায়।
প্রতিবছর পাঠক দরবারে সমাদৃত হতে উদার আকাশ লিটল ম্যাগাজিনের টেবিলে উপস্থিতি ছিল। ২০২৩ সালে উদার আকাশ আর লিটল ম্যাগাজিনের টেবিলে নেই। পাঠক দরবারে বিপুল সংখ্যক চাহিদা তৈরি হয়েছে উদার আকাশ পত্রিকা ও উদার আকাশ প্রকাশনের গ্রন্থ নিয়ে। পাঠকদের জন্য উদার আকাশ ২০২৩ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় বড় স্টল নিয়েছে। সাড়াও মিলছে ভালো। উদার আকাশ ৬৪৮ নম্বর স্টলে বই ও পত্রিকা সংগ্রহ করতে সুদূর লন্ডন ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পাঠক এসেছেন বই ও পত্রিকা সংগ্রহ করতে। এটাই উদার আকাশ পত্রিকা ও উদার আকাশ প্রকাশনের সব থেকে বড় পাওনাই বলা যায়। প্রতিদিন উদার আকাশ স্টলে থাকছেন উদার আকাশের লেখক প্রবীর ঘোষ রায়, সুব্রতা ঘোষ রায়, কমল সরকার এবং আমার পিতা মোঃ আবেদ আলি। আপনারা সবাই আসুন আমাদের স্টলে। বই ও পত্রিকা সংগ্রহ করতে পারেন আশা রাখি আপনি সমৃদ্ধ হবেন পড়ে। মনের আকাশ জুড়ে জেগে থাক উদার আকাশ। সবাই জানেন উদার জীবনের অন্বেষণ উদার আকাশ প্রকাশন।