
ভারতীয় জীবনশৈলীর মধ্য দিয়ে সারা বিশ্ব উপলব্ধি করছে অর্থনীতি এবং বাস্ততন্ত্র একে অপরের পরিপূরক: শ্রী হরদীপ সিং পুরি
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
কেন্দ্রীয় আবাসন ও নরোন্নয়ন এবং পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরি বলেছেন, জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশের ক্ষতির প্রভাব জীবনের প্রতিটি স্তরে অনুভূত হচ্ছে, জীবনযাত্রা আরও ব্যয়বহুল ও জটিল হয়ে ওঠেছে। ভারতের সভাপতিত্বে জি২০ গোষ্ঠীর পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত কার্যনির্বাহী গোষ্ঠীর প্রথম বৈঠকে এক ভিডিও বার্তায় মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্রে যে নেতিবাচক প্রভাব অনুভূত হচ্ছে সারা বিশ্বের সমন্বিত উদ্যোগে তা দূর করা সম্ভব হবে। বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত এই বৈঠকে মন্ত্রী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের জনসাধারণের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বলেন, ভারত সেদেশের মানুষের পাশে রয়েছে। সম্ভাব্য সব ধরনের মানবিক এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্যের আশ্বাস তিনি দেন। তুরস্কের এই সংকটে সারা বিশ্ব যেভাবে সে দেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তাকে তিনি এ বছরের জি২০-র মূল ভাবনা ‘বসু্ধৈব কুটুম্বকম’ বা ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’-এর প্রতিফলন বলে মনে করেন।
শ্রী পুরি জানান, বিশ্বের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৮৫ শতাংশ জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলিতে হয়ে থাকে। মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এই দেশগুলিতে হয়। সারা বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ এখানেই বসবাস করেন। তাই বিশ্বজুড়ে দক্ষিণ দক্ষিণ আলোচনার মধ্য দিয়ে জি২০ গোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির ঋণ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, গত ৮ বছর ধরে জলবায়ুর প্রতি ন্যায় বিচারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সংস্কার মূলক উদ্যোগ নিয়েছে। ২০৭০ সালের মধ্যে ভারতকে কার্বন নিঃসরণ মুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা সংক্রান্ত যে ঘোষণা গ্লাসগো সিওপি২৬-এ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী করেন, তার মধ্যে দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যার সমাধানে ভারতের দায়বদ্ধতা প্রকাশিত হয়। ভারত মনে করে অর্থনীতি এবং বাস্ততন্ত্র একে অপরের পরিপূরক।
সুস্থায়ী জীবনযাত্রা অনুসরণের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কর্মীগোষ্ঠী তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানের মধ্যে দিয়ে একটি শক্তিশালী, দূরদর্শী পরিকল্পনা রচনা করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন।