বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফেনসিডিল পাচারকারী ০৪ চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে
(জেলা-নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ)
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে বিএসএফ জওয়ানরা চোরাকারবারীদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে তাদের দায়িত্বের এলাকা থেকে ৫৬৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে এবং ০৪ জন চোরাকারবারীকেও হাতেনাতে ধরেছে। জব্দকৃত ফেনসিডিল বোতলের আনুমানিক মূল্য ১,১৬,৮২১/- টাকা।
প্রথম ঘটনাটি ২৪ মার্চ, ২০২৩ তারিখে বিএসএফের সীমা চৌকি মাহিন্দ্রা, ০৮ ব্যাটালিয়নের এলাকায় ঘটে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে, কর্তব্যরত জওয়ানরা কিছু সন্দেহজনক কার্যকলাপ টের পান এবং অবিলম্বে এলাকায় অ্যাম্বুষ স্থাপন করে । রাত ০১৩০ টায় জওয়ানরা সীমান্তের রাস্তায় রয়্যাল এনফিল্ড বাইকে ০২ জন চোরাকারবারী আসতে দেখে। জওয়ানরা তাদের বাধা দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করলেও সর্তক জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই তাদের ধরে ফেলে। এর পরে, জওয়ানরা তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। তল্লাশির সময়, জওয়ানরা তাদের কাছ থেকে ১২০ বোতল ফেনসিডিল এবং একটি বাইক বাজেয়াপ্ত করে। ধৃত পাচারকারীদের পরিচয় মানিক ঘোষ এবং অভিজিৎ ঘোষ, নদিয়া জেলা বলে জানা গেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারীরা জানায়, তারা এই ফেনসিডিল গুলো বাংলাদেশি পাচারকারী মন্টু হালদারের কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল। তারা আরও জানায়, এ বিষয়ে দিনের বেলায় বাংলাদেশি চোরাকারবারীর সঙ্গে তাদের কথা হয়। কিন্তু গভীর রাতে এই জিনিসপত্র নিয়ে বেরোতেই বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্তের কাছে তাদের ধরে ফেলে।অন্য একটি ঘটনায়, ২৩ মার্চ, ২০২৩ তারিখে, ০৮ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি মাহিন্দ্রার জওয়ানরা তাদের দায়িত্বের এলাকা থেকে ৬০ বোতল ফেনসিডিল সহ ০২ জন চোরাকারবারীকে ধরেছে। আটক চোরাকারবারীরা হলো – মন্টু হালদার, জেলা ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ এবং সুশান্ত ঘোষ, জেলা নদীয়া।


অন্যান্য ঘটনায়, সীমা চৌকি রাঙ্গিয়াপোতা, ৮২ ব্যাটালিয়ন এবং সীমা চৌকি চরমুরাসি, ১১৭ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাদের দায়িত্বের এলাকা থেকে মোট ৩৮৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে।
আটক চোরাকারবারী ও জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জওয়ানদের সাফল্যে খুশি প্রকাশ করে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মুখপাত্র তাদের অনেক প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন যে এটি কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের দ্বারা প্রদর্শিত সতর্কতার প্রতিফলন মাত্র। তিনি জনগণকে কোনো অবস্থাতেই চোরাচালানের পথ অবলম্বন না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি কঠোর ভাষায় বলেছেন যে তার জওয়ানরা সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনও ধরণের অপরাধ ঘটতে দেবেন না এবং এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ছাড় দেবেন না।