ভয়
সুনন্দ মিত্র , সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী
বিনা কারণে বারংবার সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের ওপর অহেতুক এই হামলার কারণ কি, জানেন? ভয়, হ্যাঁ ভয় কারণ হিন্দুরা কখনোই একত্রিত নয়, তাই ধর্মীয় সম্মলেননের মাধ্যমে যখন তারা একত্রিত হচ্ছে ধীরে ধীরে তখন এক শ্রেণীর মনে শঙ্কার মেঘ জমতে শুরু করেছে। রাম নবমী বা দুর্গা পূজার বিসর্জন তো শুধুমাত্র একটা অছিলা। ঠিক যেমন নূপুর শর্মার বেলায় হয়েছিল। আসল হচ্ছে হিন্দুদের এই সংগঠিত হওয়া।
এই আক্রমন হচ্ছে একধরনের মানসিক প্রভাব (psychological effects) যারা এই আক্রমণ শানাচ্ছে তারাও কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে একত্রিত। পোশাক আশাক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন থেকে আজান পর্যন্ত প্রতিদিন নিত্যনৈমিত্তিক ক্রিয়াকর্ম তারা পালন করে শুধুমাত্র নিজেদের সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে। আর সেই উদ্দেশ্যকে সফল রূপ দেওয়ার জন্য তারা মাঝে মাঝেই বিভিন্ন হিংসাত্মক কাজকর্ম ঘটিয়ে থাকে এই “বার্তা” দেওয়ার জন্য যে “সাবধান” আমরা কিন্তু একত্রিত আর প্রয়োজনে দেশের রীতিনীতি আইনের তোয়াক্কা না করে যেকোন রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করতে পারি।
তাই হাওড়া থেকে মালদহ হয়ে কালিয়াগঞ্জ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নতুন কিছু নয়। সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়যে একত্রিত হয়ে এখনও প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি সেটা প্রশংসনীয় হলেও একটা প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। তাই প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ ভেবে শক্ত হাতে এখনই হাল না ধরে তবে আগামী দিনে কোন রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটে তাকে দুর্ঘটনা না বলে তাকে পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসনিক গাফিলতি বলাই বোধহয় উচিত হবে।
কিন্তু অন্যরা যদি সংগঠিত হতে চায় বা যায় তাহলেই তারা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। আর এই কাজে তাদের মদত দেয় ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থকারি কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক দল ব্যক্তি। যাদের মধ্যে অগ্রণী বাম ও বামপন্থী মনভাবাপন্নরা। এই তোষণের রাজনীতি কিন্তু ধ্বংসেরই পূর্বাভাস।
আসুন সকলে মিলে এমন এক সমাজ তৈরী হোক মানুষ যেখানে ভয় নয় মানবতার শ্রেষ্ঠ প্রকাশ দেখতে পাবে, কোনো সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নয় সমাজ চলবে মানুষের মানবিক গুণে । কিন্তু ভয় কি তা হতে দেবে ?
*** লেখকের মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত মত চ্যানেল এর সাথে সহমত বা বিরোধ প্রকাশ করে না, মোট প্রকাশের স্বাধীনতার ভিত্তিতে প্রকাশিত ***