বিএসএফ ২১.৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের ০৩ টি সোনার বিস্কুট সহ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে
(জেলা-নদিয়া)
১৪ মে, ২০২৩ তারিখে, দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীন ০৮ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি রামনগরের জওয়ানরা, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে, ০৩ টি সোনার বিস্কুট সহ এক চোরাচালানকারীকে ধরেছে। জব্দ করা সোনার বিস্কুটগুলির মোট ওজন ৩৪৯.৯ গ্রাম এবং সেগুলোর আনুমানিক মূল্য ২১,৫৫,৩৮৪/- টাকা।
লক্ষণীয় যে সীমান্ত চৌকি রামনগরের জওয়ানরা নিশ্চিত খবর পায় যে এক চোরাকারবারী কৃষকের ছদ্মবেশে সোনা পাচার করতে চলেছে। এরপরই জওয়ানরা তাদের এলাকায় নজরদারি বাড়িয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর এক কৃষককে তার চাষের জমিতে যেতে দেখলে, জোয়ানরা তাকে তার জমির চারদিকে ঘিরে ফেলে । এটা দেখে কৃষক ভয় পেয়ে সেখানে কিছু জিনিস ফেলে পালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই তাকে আটক করে। জওয়ানরা এলাকাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করলে ঘটনাস্থল থেকে উপরোক্ত সোনার বিস্কুট পাওয়া যায়। এরপর জওয়ানরা পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে। গ্রেফতারকৃত পাচারকারীর পরিচয় শামিন ধাবক, জেলা নদীয়া বলে জানা যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারি জানায়, রামনগরের বাসিন্দা মতির মণ্ডল তাকে বলেছিল, বাংলাদেশের বাসিন্দা মতিউর রহমান তাকে সোনার বিস্কুট দেবে। সে আরও জানান, সোনার ডেলিভারি ভালো ভাবে হওয়ার পর সে তাকে অনেক টাকা দেবে। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা তার পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়।
আটক চোরাকারবারীকে জব্দকৃত সোনার বিস্কুটসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শুল্ক বিভাগ মাজদিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের সোনা চোরাচালানের বিষয়ে তথ্য জানা থাকলে, বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ যোগাযোগ করে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে , যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যাবে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
