
বিএসএফ পুলিশ এবং মেরি ওয়ার্ড সোশ্যাল সেন্টার (এনজিও) এর সাথে যৌথভাবে সীমান্ত স্কুলের ছাত্রদের কিশোর অপরাধ এবং সাইবার জালিয়াতি সম্পর্কে জাগরুক করেছে
(জেলা-উত্তর ২৪ পরগনা ও নদীয়া)
২২ মে, ২০২৩ তারিখে, দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের সীমা চৌকি ঘোজাডাঙ্গা, ১৫৩ ব্যাটালিয়নের অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (AHTU), বসিরহাট পুলিশ এবং মেরি ওয়ার্ড সোশ্যাল সেন্টার (এনজিও) এর সাথে যৌথ ভাবে সীমান্ত স্কুলের ছাত্রদের শিশু অপরাধ, সাইবার জালিয়াতি সম্পর্কে সচেতন করেছে। বসিরহাট টাউন হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিএসএফ-এর অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ), ডিসি, সদর দপ্তর বসিরহাট, আইসি পিএস বসিরহাট, আইসি সাইবার সেল, ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ২০ জন পুলিশ সদস্য এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এছাড়াও ১০০ জন স্থানীয় যুবক-যুবতী এবং কলকাতা মেরি ওয়ার্ড সোশ্যাল সেন্টারের (এনজিও) ১০ জন সদস্য এই সচেতনতামূলক কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে শিশুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
সচেতনতামূলক প্রচারণার উদ্দেশ্য ছিল সাইবার অপরাধ, শিশু পাচার, বাল্য বিবাহ এবং শিশু নির্যাতন সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষিত করা। অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয় এবং উপস্থিত লোকজন আয়োজকদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
এছাড়াও একই দিনে রামনগরের মানব পাচার প্রতিরোধ ইউনিট (এএইচটিইউ) দ্বারা চাইল্ড লাইন এনজিও এবং শ্রীমা মহিলা সমিতি, দত্তপুলিয়ার সাথে যৌথ ভাবে সীমা চৌকি বর্নবেরিয়া, ০৮ ব্যাটালিয়ন এলাকায় অনুরূপ আরেকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহিলা ও পুরুষদের মানব পাচার, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম এবং লিঙ্গ বৈষম্য সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
বিএসএফ, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার এর মুখপাত্র এ ধরনের কর্মসূচির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন যে মানব পাচার ও শিশু অপরাধ প্রতিরোধে বিএসএফ সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিশোর অপরাধ, সাইবার অপরাধ এবং মানব পাচারের মতো জঘন্য অপরাধ দমনের লক্ষ্যে সংগঠনটি এনজিও-র সহযোগিতায় বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।