ভারতের প্রথম mRNA ভিত্তিক নির্দিষ্টভাবে ওমিক্রনের জন্য তৈরি জেনোভার বুস্টার ভ্যাক্সিন ডিসিজিআইয়ের অনুমোদন পেল
- নির্দিষ্টভাবে ওমিক্রনের জন্য তৈরি এই ভ্যাক্সিন পাওয়া যাবে GEMCOVAC®-OM নামে
- ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীরা এই ভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ হিসাবে নিতে পারেন
· এই বুস্টার ভ্যাক্সিন নিরাপদে সেইসব ব্যক্তিদের দেওয়া যেতে পারে যাঁরা COVAXIN® বা COVISHIELD™ -এর দুটো ডোজ পেয়েছেন
· এ এক ইন্ট্রাডার্মাল ভ্যাক্সিন, যা এক সূঁচহীন যন্ত্র দিয়ে দেওয়া হয়
· এই ভ্যাক্সিন ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠিক থাকে
পুনে, ভারত, জুন ২০, ২০২৩:
পুনের কোম্পানি জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিকালস লিমিটেড ঘোষণা করেছে যে নির্দিষ্টভাবে SARS-CoV-2-র ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের জন্য তৈরি তার mRNA কোভিড-১৯ বুস্টার ভ্যাক্সিন – GEMCOVAC®-OM – ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI) দফতর থেকে এমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন (EUA) পেয়ে গেছে।
GEMCOVAC®-OM হল কোভিড-১৯-এর প্রবলভাবে সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের জন্য তৈরি প্রথম বুস্টার ভ্যাক্সিন যা ভারতে তৈরি। GEMCOVAC®-OM ভারতের ১৩টা শহরের ২০টা কেন্দ্রে পরিচালিত ফেজ ৩ ক্লিনিকাল ট্রায়ালে জোরালো ইমিউন রেসপন্স দেখিয়েছে। ফেজ ২/৩ ট্রায়ালে প্রায় ৩০০০ ব্যক্তি GEMCOVAC®-OM পেয়েছিলেন এবং ভ্যাক্সিনটা সুরক্ষিত ও শরীরের সহ্য হওয়ার মত বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই অনুমোদিত যে ভ্যাক্সিনগুলো সাবধানতামূলক/বুস্টার ডোজ হিসাবে ব্যবহার করা হয় সেগুলো SARS-CoV-2-র আদি স্ট্রেনের জন্য ডিজাইন করা। যদিও সেগুলো অ্যান্টিবডি টিটার বৃদ্ধি করে, সেগুলোর SARS-CoV-2-র ছড়াতে থাকা ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টকে নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা সীমিত। নির্দিষ্টভাবে ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের অ্যান্টিবডি ও মেমরি ইমিউন রেসপন্স তৈরি করা সংক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস করবে এবং হাসপাতালে ভর্তি ও অতিমারীর ভবিষ্যৎ ঢেউ প্রতিরোধ করবে। ভারতে নির্মিত GEMCOVAC®-OM নির্দিষ্টভাবে এই অভাব পূরণ করে।
GEMCOVAC®-OM হল একটা লায়োফিলাইজড (ফ্রিজ ড্রায়েড) ভ্যাক্সিন, যা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠিক থাকে।
এটা ইন্ট্রাডার্মালি দেওয়া হয় Tropis® নামে একটা যন্ত্র ব্যবহার করে, যা তৈরি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাজেট সংস্থা। এ এক সূঁচমুক্ত যন্ত্র যা সূঁচের অসুবিধাগুলো, যেমন সূঁচে ভয়, ছুঁচলো জিনিস কোথায় ফেলা হবে সেই সমস্যা এবং ছুঁচ থেকে লাগা আঘাতের সম্ভাবনা দূর করে।
ডঃ সঞ্জয় সিং, সিইও, জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিকালস লিমিটেড, বলেন “অপূর্ণ মেডিকাল প্রয়োজনগুলো মেটানোর জন্য সারা বিশ্বের বৈজ্ঞানিক মহলের প্রয়াসের অঙ্গ হিসাবে জেনোভা টিম স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। একটা জিনিস উপলব্ধি করা গেছে যে কোভিড-১৯ থাকবে এবং মিউটেট করতেই থাকবে। সুতরাং আমাদের যে ভ্যারিয়্যান্টগুলো আসছে সেগুলোর মোকাবিলা করার জন্য ভ্যাক্সিন নিয়ে তৈরি থাকতে হবে। ভারত সরকারের জৈব প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে মিলে তৈরি mRNA প্ল্যাটফর্ম ভবিষ্যতে যদি কোনো বিপজ্জনক ভ্যারিয়্যান্ট আসে তাহলে ভ্যাক্সিন তৈরিতে দ্রুত বদল আনতে তৈরি থাকার সুযোগ দিচ্ছে। ভ্যাক্সিন আজও মারণ রোগগুলোর বিরুদ্ধে মানুষের সেরা বর্ম।”
উন্নততর স্বাস্থ্যের জন্য সমাধান খুঁজতে জেনোভার গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে সমিত মেহতা, সিওও, জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিকালস লিমিটেড, বললেন “জেনোভা সফলভাবে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ভারতের প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্ট ভ্যাক্সিন তৈরি করে ফেলেছে। কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনের নাগাল পেতে সারা পৃথিবীতে মানুষকে যে লড়াই চালাতে হয়েছে সেকথা মাথায় রেখে আমরা খুশি যে আমরা এমন একটা ভ্যাক্সিন দিচ্ছি যা প্রযুক্তি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি, অর্থাৎ mRNA। আমরা আমাদের অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞ – অর্থাৎ চিকিৎসা জগৎ, সরকার, বৈজ্ঞানিক মহল – কারণ তাঁরা আমাদের mRNA প্রযুক্তি এবং এখন নির্দিষ্টভাবে ওমিক্রনের জন্য তৈরি ভ্যাক্সিনের উপর ভরসা রেখেছেন। mRNA ভ্যাক্সিন প্ল্যাটফর্ম এখনো ভারত এবং পৃথিবীর জন্য করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এক সুরক্ষামূলক বর্ম।”