রবি ঠাকুর তাঁর “অসন্তোষের কারণ” গল্পে লিখেছেন…”আমরা শিক্ষা কে বহন করিয়াই গেলাম, বাহন করিতে পারিলাম না।” আমাদের বর্তমান রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে, বিশেষতঃ কারিগরি শিক্ষা ক্ষেত্রের দিকে তাকালে মনে হয়, রবি ঠাকুর ও বোধহয় এতটা করুন অবস্থা স্বপ্নেও চিন্তা করতে পারেন নি। একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান যদি দেখি আমরা, ২৭ টি সরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সঙ্গে ৬৫ টি AICTE approved প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ মিলিয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সর্বমোট ১২ লক্ষ ৫৩ হাজার সিটের মধ্যে, ৪ লক্ষ ২১ হাজার সিট খালি পড়ে ছিল। কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই- শতকরা হিসেবে এর মান ৪০% র মত। বিগত শিক্ষা বর্ষে ইঞ্জিনিয়ারিং এর এই শূন্য সিটের শতকরা হিসেব টা লজ্জা জনক ভাবে ৫০% ছাড়িয়ে গেল। আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে দিনে দিনে কোন দুর্দিনের দীনতায় তলিয়ে যাচ্ছি ,ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। খুব দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি যে, আমার প্রিয় রাজ্যে,রাজনীতির ব্যাপারী গণ শিক্ষা কেই বেছে নিয়েছেন তাদের বহুল বিক্রীত পণ্য হিসেবে। আমরা মুখে বলব, “শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড” কিন্তু নিজেরা যে নরক পথে এগিয়ে চলেছি, তাতে সেই দিন খুব দেরি নেই, যেখানে আজকের ছাত্র যুবর সঙ্গে সঙ্গে আগামীর সমগ্র জাতি টাই সার্বিক ভাবে অমেরুদণ্ডী হয়ে পড়বে।
কালের গর্ভে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার গৌরবের শিক্ষা ও কৃষ্টি – বাংলার কারিগরি শিক্ষার হাল হকিকত খুঁজলেন কারিগরি কবিয়াল সুপ্রিয় সেনগুপ্ত
Read Time:2 Minute, 0 Second
Advertisements