এক বিখ্যাত কবির শিথিল সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যাক্তির আবির্ভাব আর তার থেকেই প্রত্যাখ্যান কবিতার সূচনা। আমাদের এডিটর ধীরেশ চৌধুরীর এই লেখা জীবন ছুঁয়ে যাওয়া। পাঠকদের জন্য তুলে ধরলাম তাঁর দেয়া পূর্ব অভয় বাণী এই অনুজ ভাই টিকে।
“দিনে দিনে
উদাসীন, উন্নাসিক, অনুত্তর, শিথিল,
একান্ত ঘরটার দরজাতেও
নামকাওয়াস্তে কয়েকটা দিন পড়ছে শুধু খিল।
তাও তীব্র আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে
তারপরেও সে এগোয়,
মেনে নিয়ে সব অবহেলা, অবজ্ঞা,
বুকে একটাই আশা,
নিখাদ যদি তার সে চাওয়া হয়,
ভালোবাসা যদি তার নিষ্কলুষ হয়,
একদিন নিশ্চিত ও-র মনকে করা যাবেই জয়…” কবি অগ্রজ কবি আর্যতীর্থের লেখা লাইন থেকে এ লেখার শুরু…
কিছু পরে লিখছেন
“এভাবে দিনের পর দিন মাসের পর মাস চলে যায়,
শিথিলতা ক্রমশঃ আরও বাড়ে,
বা,
আর সৃষ্টি র জন্য হয়েছিলো যে দুবার মিলন,
শীৎকার শেষে যাতে ছিলো না শুধুই খানিক বীর্যের স্খলন,
বা জোরপূর্বক কোনো আস্ফালন,
তারপরেও এতটুকু বোধ জাগলো না ও-র বিবেকে!
যৌনতা, বিলাসিতাই হলো শুধু বিচার্য ও-র কাছে,
সম্পর্কে র ন্যূনতম দায়বদ্ধতা ব্যতিরেকে…”
অথবা,
“মাঝে মাঝেই তীব্র তাই ইচ্ছে হত তার,
প্রয়োগ করবে সেই ক্ষমতার,
নিন্দুকেরা যাকে বলে পুরুষত্বের অপপ্রয়োগ,
তা যে যা বলতো লোকজন,
পাওয়া তো যেতো ক্ষণিকের সুখ,
বলপূর্বক করা হতো যদি সম্ভোগ।
ভেবেছে, কিন্তু সে পারেনি বা আজও পারেনা,
বেশিরভাগ পুরুষের মতন আসলে এভাবে সেও যে চায়না,
মুষ্টিমেয় যারা
নারী বলতে বোঝে শুধুই… “
© ডাঃ ধীরেশ চৌধুরী
২৭শে আষাঢ়, ১৪৩০।
এই সময়ের জনপ্রিয়, অত্যন্ত সমাজ সচেতক, সাহসী ও দূর দৃষ্টিসম্পন্ন আমার অগ্রজ কবি আর্যতীর্থের অতি সাম্প্রতিক একটি কবিতা প্রত্যাখ্যান। যেখানে উনি তুলে ধরেছেন একজন নারীর শরীর শিথিল হয়ে যাওয়ার পর তার স্বামী কতৃর্ক যৌনো মিলনে প্রত্যাখ্যান হওয়ার কথা আর তারই মধ্যে গতানুতিক জীবন চরিতের কথা। ভীষণই অর্থবহ, প্রাসঙ্গিক ও খুরধার। এককথায় অসাধারণ।
কিন্তু, তার পাশাপাশি এ চিত্রও আজ বড্ড বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে যেখানে প্রত্যাখ্যান করছে স্ত্রী। না কোনো জোরপূর্বক বা অত্যাচারের কারণে নয়, সম্মানের সাথে চাওয়ার পরেও। কারণ সেই স্ত্রী পরকীয়ায় মশগুল। স্বামী তখন তার কাছে শুধুমাত্র অন্যসব চাহিদা যোগানের যন্ত্র মাত্র। এর বেশি কিছু নয়। সফ্ট অ্যাবিউজের শিকার বনছে প্রচুর পুরুষ। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছে, ফল স্বরূপ এমনকি আত্মহত্যা।
পরিসংখ্যান বলছে বিবাহিত পুরুষের আত্মহত্যার প্রবণতা ও সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এসব নিয়ে খুব বেশি লেখা নেই। লিখলেও সমর্থিত হয়না। তবুও লিখে যেতে হবে। নাহলে আংশিক ভুল বার্তা যাবে।
তাই আমার এই লেখার এই লেখার তাগিদ। জানি উৎকর্ষতা য় এটা অনেক কম। আর এটা কোনো বিরোধী প্রতিবাদের জন্য নয়, পূর্ন সমর্থন জানিয়ে সম্পূরক করার প্রয়াস মাত্র। তাই নামকরণ ও একই।
Doctor Dhiresh Chowdhury not only a renound geriatrics expert but also a strong pen with sensitive social touch. He is one of the few gentlemen left in the Bengal diaspora of intellectuals. We are proud to have him as our editorial panel member.