নাবার্ডের ৪২ তম প্রতিষ্ঠা দিবস
১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে, নাবার্ড কৃষি এবং গ্রামীণ ক্ষেত্রের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বছর ১২ জুলাই নাবার্ড ৪২ বছরে পড়ল।
৪২ বছর উদযাপন উপলক্ষে সল্টলেকে নাবার্ডের পশ্চিমবঙ্গ আঞ্চলিক অফিসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর কেশবন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক নির্দেশক, নাবার্ডের সি জি এম শ্রীমতী ঊষা রমেশ সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্তা ও নাবার্ড থেকে সহযোগীতা পেয়ে সফল হওয়া চাষীরা।
এই উপলক্ষ্যে, নাবার্ড ঝাড়গ্রামের একটি আদিবাসী অধ্যুষিত জেলায় যে উন্নয়ন করেছে সে বিষয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া এ রাজ্যে ২০২২-২৩ সালে নাবার্ডের বার্ষিক কর্মক্ষমতা তুলে ধরা হয় ও ‘গ্রামীণ সমৃদ্ধির সাথে মিলিত হওয়া: পশ্চিমে উন্নয়নের পদচিহ্ন’ নামে কয়েকটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া দার্জিলিং এ নাবার্ডের “হামরো হোমস্টে প্রজেক্ট বুকলেট” এবং “আরআইডিএফের কফি টেবিল বুকলেট” এবং “এফএসডিডি হস্তক্ষেপে ই-বুকলেট” চালু করা হয়।
আর কেশবন তার বক্তব্যে, নারীর ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ জোর দিয়ে গ্রামীণ ভারতের উন্নয়ন এবং গ্রামীণ জনসংখ্যার উন্নতির জন্য নাবার্ডের কাজগুলির প্রশংসা করেন।
সি জি এম ঊষা রমেশ গ্রামবাংলার উন্নয়নে নাবার্ডের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে, নাবার্ড পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক কার্যালয় ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ব্যতিক্রমীভাবে ভাল পারফরম্যান্স করেছে এবং উন্নয়ন ও প্রচারমূলক কার্যক্রমের অধীনে সর্বকালের উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন সব থেকে বড় সমস্যা ।তাই আগামী ২৫ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনায় নাবার্ড জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা মেটাতে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে। এছাড়া গ্রামীন উন্নয়নে পরিকাঠামো বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য যারা বক্তৃতা করেন শিও শঙ্কর সিং, জেনারেল ম্যানেজার, এসএলবিসি, শিবনাথ চৌধুরী, চেয়ারম্যান, নদীয়া ডিসিসিবি, রাজেন্দ্র কুমার সাবু, নির্বাহী পরিচালক, ইউকো ব্যাংক প্রমুখ।