বিএসএফ ফের সোনা চোরাচালান বানচাল করেছে; সীমান্তে ১৪ লাখ টাকা মূল্যের ০২ টি সোনার বিস্কুটসহ এক চোরাকারবারীকে হাতেনাতে ধরেছে।
(জেলা-মুর্শিদাবাদ)
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন ১৪১ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি ফার্জিপাড়ার জওয়ানরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে, ০২ টি সোনার বিস্কুট সহ এক চোরাকারবারীকে হাতেনাতে ধরেছে। জব্দকৃত সোনার বিস্কুটগুলোর ওজন ২৩৩.২৭০ গ্রাম এবং যার আনুমানিক মূল্য ১৪,০৮,৯৫১/- টাকা। চোরাকারবারি বাংলাদেশি চোরাকারবারির কাছ থেকে এসব সোনার বিস্কুট নিয়ে পাচারের জন্য ভারতে নিয়ে আসছিল।
উল্লেখ্য যে, ১২ জুলাই, ২০২৩ তারিখে সীমা চৌকি ফারজিপাড়ার জওয়ানরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নুতনপাড়া গ্রাম থেকে একটি গাড়িতে করে টলতলী গ্রামের দিকে যেতে দেখে। ডিউটিতে থাকা জওয়ানরা আগে থেকেই সতর্ক ছিল। সন্দেহভাজন ব্যক্তি টলটলিতে গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে জওয়ানদের দেখে ভয় পেয়ে যায়। জওয়ানরা তাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর (এইচএইচএমডি) দিয়ে তাকে তল্লাশি করে। তল্লাশির সময় মেশিন থেকে বিপ শব্দ এলে ওই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কর্তব্যরত জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই তাকে ধরে ফেলে। এরপর ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে তার লুঙ্গি থেকে ০২টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। ধৃত পাচারকারীর পরিচয় জাহাঙ্গীর শেখ (৪০ বছর), পিতা সাহাদ আলী শেখ, জেলা মুর্শিদাবাদ বলে জানা যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারী জানায়, সে ওই সোনার বিস্কুটগুলো বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাঘা এলাকার বাসিন্দা আব্বাসের কাছ থেকে নিয়েছিল । এরপর সে এই সোনার বিস্কুটগুলো বহরমপুরের সাহিনুরের (বয়স ২৮) হাতে তুলে দিতে যাচ্ছিল।
জব্দকৃত সোনার বিস্কুটসহ আটক চোরাকারবারীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টম অফিস জলঙ্গীতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে, যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যাবে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।