মুপল ইনস্টিটিউট বহরমপুরে তার প্রথম কেন্দ্র চালু করল
উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করা হয়েছে সার্টিফিকেট কোর্স
· ১০ম শ্রেণি থেকে শুরু করে পিজি`র ছাত্ৰদের জন্য অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল এফেক্টস (ভিএফএক্স), গ্রাফিক্স, মোশন গ্রাফিক্স এবং ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে সফল পেশাদার তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
· ২০২৩-২০২৪ সালের মধ্যে সারা ভারত জুড়ে অতিরিক্ত ১০টি কেন্দ্র চালু করা হবে
· এই আর্থিক বছরে সারা দেশে ১০,০০০-এরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে
· ৫ বছরের মধ্যে সারা ভারত জুড়ে ৫০টি কেন্দ্র চালু করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে
· পরবর্তী পাঁচ বছরে ৩০,০০০ জনেরও বেশি পেশাদার তৈরি করার দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে
বহরমপুর, ১৯ জুলাই, ২০২৩:
পূর্ব ভারতের বৃহত্তম অ্যানিমেশন প্রোডাকশন হাউস, হাইটেক অ্যানিমেশন স্টুডিও, যেটি ভারতীয় চ্যানেলগুলির জন্য বেশিরভাগ অ্যানিমেশন কনটেন্ট তৈরি করে থাকে, তারা আজ তাদের শিক্ষা শাখা, মুপল ইনস্টিটিউট অফ অ্যানিমেশন অ্যান্ড ডিজাইন-এর অধীনে বহরমপুরের রানিবাগান-এ তাদের নতুন কেন্দ্র চালু করার কথা ঘোষণা করল।
মুপল ইনস্টিটিউট ৩ডি অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল এফেক্টস, গ্রাফিক ডিজাইনিং, মোশন গ্রাফিক্স, ওয়েব ডিজাইনিং ইত্যাদিতে সার্টিফিকেট কোর্স অফার করে। এই কোর্সটি বিশেষভাবে সৃজনশীল মস্তিষ্কের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে ব্যবসার বাণিজ্যিক দিকগুলির সঙ্গে তাদের ডোমেন দক্ষতাকে সবচেয়ে বাস্তবমুখীভাবে সমন্বয় করতে সাহায্য করে। বর্তমানে মুপল ইনস্টিটিউটের ১৬টি কেন্দ্র রয়েছে যা সারা ভারত জুড়ে কাজ করছে এবং এই আর্থিক বছরের শেষ নাগাদ অতিরিক্ত আরও ১০টি কেন্দ্র চালু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রথম ব্যাচটির ক্লাস ২০২৩-এর আগস্ট থেকে শুরু হবে, পরবর্তী ব্যাচগুলি পরবর্তী প্রতি মাসে হবে। ১০ম শ্রেণি
র বোর্ড পরীক্ষা শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা এই কোর্সগুলির জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবে। প্রথম ৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে।
মুপল ইনস্টিটিউট এই কেন্দ্রগুলিকে ‘স্থানীয় এলাকার প্রযুক্তি-সক্ষমদের জন্য অ্যাকসেস সহজ করতে` ডিজাইন করেছে, যেমন রেলস্টেশন, বাস স্ট্যান্ড এবং অন্যান্য প্রধান পরিবহনের মোড থেকে হাঁটার দূরত্বের মধ্যে। এছাড়াও প্রোজেক্ট ও ইন্টার্নশিপ-এর মাধ্যমে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের উপর ফোকাস সহ শিল্পের উপযোগী গুণমানসম্পন্ন শিক্ষার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
মুপল ইনস্টিটিউট তার সমস্ত ছাত্রদের ১০০% প্লেসমেন্ট-এ সহায়তা প্রদান করে। বর্তমানে, মুপল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অ্যামাজন, টেকনিকলার, বাইজু`স, রেড চিলিস, পিডব্লিউসি, জি বাংলা, এসভিএফ, সুরিন্দর ফিল্মসের মত দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিতে কাজ করছে। এই কোর্সটি সফলভাবে সমাপ্ত করার পর, ফ্রেশারদের জন্য প্রারম্ভিক বেতন দেওয়া হয় ৪১,০০০ টাকা।
এই ইনস্টিটিউট লঞ্চ করার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে, মুপল একাডেমি প্রাইভেট লিমিটেড-এর ডিরেক্টর মিসেস পায়েল চোপড়া বলেন, “আমরা বহরমপুরে আমাদের প্রথম কেন্দ্র চালু করতে পেরে আনন্দিত। বাংলা সবসময় সৃজনশীলতার জন্য অগ্রদূত হিসেবে চিহ্নিত এবং আমরা আশা করি যে আমাদের বহরমপুর কেন্দ্র থেকে সহজ অ্যাকসেস-এর কারণে আমরা আজিমগঞ্জ, জিয়াগঞ্জ, পলাশি, বেলডাঙ্গা এবং আশেপাশের অন্যান্য এলাকায় এই ক্ষেত্রের শৈল্পিক প্রতিভার পুল-এর কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হব। আমরা এই এলাকার উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নতুন যুগের কেরিয়ার-কেন্দ্রিক শিক্ষা নিয়ে আসতে চাই, যাদের এর আগে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে অন্য শহরে যেতে হত।”
মুপল একাডেমি প্রাইভেট লিমিটেড-এর ফাউন্ডার ও এমডি মি. সুব্রত রায় তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, “আমার কর্মজীবনের শুরু থেকেই, আমি সবসময় বাংলার যুবকদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করার উপায় খুঁজে বের করতে চেয়ে এসেছি। এই লক্ষ্যটি বাস্তবায়িত করার ২০ বছর পর, আমি গর্ব করে বলতে পারি যে আমরা সারা ভারতে হাজার হাজার ছাত্রদের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানিতে কাজের সুযোগ করে দিতে পেরেছি। তরুণরা যাতে শিল্পের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারে, সেই বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে বহরমপুরে আমাদের কেন্দ্র`র মাধ্যমে উন্নত গুণমানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে। আমরা বহরমপুরে আমাদের এই প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমাদের এই প্রয়াসের সঙ্গে তরুণদের যোগ দেবার অপেক্ষায় রয়েছি!”
এভিজিসি শিল্পের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি এবং আগামী বছরগুলিতে সম্ভাব্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্পর্কে ভারত সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী, শ্রীমতি নির্মলা সীতারামন সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রগুলিতে কর্মজীবন শুরু করতে চান এমন প্রার্থীদের জন্য একটি উচ্চ আশা নিয়ে এই ক্ষেত্রটি খোলা হয়েছে। মুপল ইনস্টিটিউট তার ৩৬০ ডিগ্রি শিক্ষাদান এবং শেখার সিস্টেমের সঙ্গে এই শিল্পের স্ট্যান্ডার্ড স্কিল সেটকে কেবল নতুনভাবে সংজ্ঞায়িতই করবে না, বরং হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জন্য সামনের দিনগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করবে।