দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে শিল্প ক্ষেত্রে সার্কুলার ইকোনমি চালুর উদ্যোগ
দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে প্রাকৃতিক সম্পদের অপরিকল্পিত ব্যবহার। পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ু, বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বা উষ্ণায়ন।
তাই আগামী প্রজন্মের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বা টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন পরিবেশ রক্ষা, জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ , বর্জ্য পুনর্ব্যবহার ও দূষণ রোধের মাধ্যমে
সার্কুলার ইকোনমি বা বৃত্তাকার অর্থনীতির প্রয়োগ।
যার অনেকটাই সম্ভব পণ্য ব্যবহারের পর বর্জ্য সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে। এর ফলে একদিকে যেমন কার্বন নিঃসরণ কমবে তেমনি দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাবে পরিবেশ।
শিল্প ক্ষেত্রে বিশেষ করে ছোটো ও মাঝারি শিল্পে এই সার্কুলার ইকোনমির ব্যবহার করতে কলকাতায় শুরু হল তিন দিনের এক কর্মশালা।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের আর্থিক সহযোগিতায় এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এয়ার এন্ড ওয়াটার এর উদ্যোগে দেশ বিদেশের প্রায় ৫ টি
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন রিসার্চ অর্গানাইজেশন এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিরা এই কর্মশায়ালায় অংশ নেন। ইন্টারন্যাশানাল সোসাইটি অফ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এয়ার এন্ড ওয়াটারের সভাপতি ডক্টর সাধন কুমার ঘোষ বলেন,কোনো দ্রব্য যাতে নষ্ট না হয়, প্রতিটি জিনিসের যাতে সঠিক উপায়ে পুনর্ব্যবহার করা যায় তার জন্যে বার্মিংহামের এস্টন বিশ্ববিদ্যালিয়ের সঙ্গে কোলাবোরেশানে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে কলকাতা ছাড়াও ভাইজ্যাক, তিরুপতি, চেন্নাই, মুম্বাই থেকে ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিয়েছেন। এখানে তিন দিনের থিওরিটিক্যাল প্রশিক্ষণের পর ১৫ দিন ধরে কোনো শিল্প সংস্থায় গিয়ে তারা প্র্যাক্টিক্যাল প্রজেক্ট করবে।
তিনি বলেন, সার্কুলার ইকোনমির প্রয়োগে ব্রিটেন, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। আমাদের দেশেও বিশেষ করে শিল্পক্ষেত্রে এর ব্যবহার বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই কর্মশালা কাজে আসবে বলে মনে করছেন শিল্পপতি ও গবেষকরাও।