‘আর্চি’ কমিকস আমার কাছে এক আলাদা বিশ্ব, এ নিয়ে ছবির কাহিনীচিত্র লেখা বেশ কঠিন ছিল, কিন্তু তা সম্মানের : আইএফএফআই ৫৪-তে জোয়া আখতার
আর্চি কমিকের ওপর প্রথম কাহিনীচিত্র; ভারতে আর্চিস-এর গ্রহণযোগ্যতা অবিশ্বাস্য : জন গোল্ডওয়াটার, সিইও, আর্চি কমিকস
By PIB Kolkata
গোয়া, ২২ নভেম্বর, ২০২৩
সুপরিচিত আর্চি কমিকস-এর নিষ্পাপ, সরল ও প্রাণময় বন্ধুত্বের বার্তা তুলে ধরা হয়েছে দ্য আর্চিস ছবিতে। দু’ঘণ্টার এই কাহিনীচিত্র তৈরি হয়েছে আজকের নবীন প্রজন্মের জন্য, বললেন ৬ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জয়ী নির্দেশক জোয়া আখতার। গোয়ায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গতকাল ‘দ্য আর্চিস- মে়ড ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক এক বার্তালাপ অধিবেশনে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
একটি কমিকস-এর গল্পকে কাহিনীচিত্রে রূপান্তরিত করার বিষয়ে জোয়া আখতার বলেন, আর্চি কমিকস-এর মূল ভাবনা ও ব্যাঞ্জনাকে ধরা এবং তারপরে বিষয়টিকে চলচ্চিত্রে রুপান্তরিত করা খুব সহজ নয়। আর্চি কমিকস-এর বিপুল জনপ্রিয়তা কাজটি আরও কঠিন করে তোলে। এই কমিকস-এর প্রতি শৈশবে তাঁর ভালোবাসা, স্মৃতিমেদুরতার অনুভূতিকে সঙ্গে নিয়ে আজকের প্রজন্মের কাছে এ নিয়ে আকর্ষণীয় চলচ্চিত্রায়ন যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। এই ছবির চিত্রনাট্য লেখা নতুন এক অভিজ্ঞতা বলে লেখিকা জানিয়েছেন।
আর্চি কমিকের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক জন গোল্ড ওয়াটার বলেছেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত এবং সারা বিশ্বে আর্চি কমিকস যেভাবে জনপ্রিয়তার শিখরে রয়েছে তা অত্যন্ত গর্বের। ফিল্ম নির্মাতারা কাল্পনিক চরিত্রগুলিকে যথার্থভাবে জীবন্ত করে তুলেছেন রূপালি পর্দায়।
নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার বিষয়বস্তু বিভাগের অধিকর্তা রূচিকা কাপুর শেখ বলেন, আর্চি কমিকস-এর ইতিহাসে ওই চরিত্রগুলিকে নিয়ে প্রথম কাহিনী চিত্র নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং সারা বিশ্বে তার ফ্র্যানচাইজি পাওয়া তাঁদের কাছে এক স্মরণীয় মুহুর্ত।
দ্য আর্চিস
কমিকস ‘দ্য আর্চিস’-এর ভারতীয়ত্বে জারিত কাহিনীচিত্রায়ন হল এই ছবি। গল্পের পটভূমিকা ৬০-এর দশকে ভারতের একটি কল্পিত পার্বত্য শহর রিভারডেল-কে ঘিরে। কৈশোরে উপনীত কয়েকজনের প্রেম ও ভালোবাসা, পারস্পরিক দন্দ্ব, মানসিক আঘাত-প্রতিঘাত ও প্রতিবাদের এক সজীব অধ্যায় ছবিটির বিষয়বস্তু। সঙ্গীতময় এই ছবিটি নেটফ্লিক্স-এ আসছে আগামী ৭ ডিসেম্বর।