মাননীয় রেল, যোগাযোগ এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে ডিপফেক সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের আলাপচারিতা
কলকাতা , ২৩ নভেম্বর,২০২৩
সারা বিশ্বজুড়েই গণতন্ত্র এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলির পক্ষে ডিপফেক একটি বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম-এ ডিপফেক কনটেন্ট – এর আদানপ্রদান এই চ্যালেঞ্জকে আরোও বাড়িয়ে তুলেছে।
ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সময়ে সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালকদের এব্যাপারে খুঁটিয়ে দেখার ও ডিপফেকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আজ কিছুক্ষণ আগে মাননীয় মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব শিক্ষাবিদ, শিল্পসংস্থার প্রতিনিধি, ফেসবুক, এক্স (পূর্বতন টুইটার ) , হোয়াটসআপ , টেলিগ্রাম , কু , স্ন্যাপচ্যাট ইত্যাদির মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় ডিপফেকের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছেন।
এই আলাপচারিতায় স্থির হয়েছে যে সরকার, শিক্ষামহল, সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি এবং নাসকম ডিপফেকের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে কাজ করবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে নিচের চারটি বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে একমত হয়েছে সবপক্ষ :
১. চিহ্নিত করা : পোস্ট করার আগে বা পরে ডিপফেক কনটেন্টগুলি চিহ্নিত করা হবে।
২. প্রতিরোধ করা : ডিপফেক কনটেন্ট এর আদানপ্রদান বন্ধ করতে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
৩. জ্ঞাত হওয়া : কার্যকর এবং দ্রুত তথ্যপ্রেরণ ও অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৪. সচেতনতা : ডিপফেক বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
ডিপফেক সংক্রান্ত সমস্যা নির্মূল করতে ইলেক্ট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক খুব দ্রুত একটি আইনের খসড়া তৈরি করবে। এর জন্য মন্ত্রক MyGov পোর্টালে জনগণের প্রতিক্রিয়া নেবে।
এই চারটি বিষয় সংক্রান্ত কাঠামো চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ডিসেম্বর ২০২৩ এর প্রথম সপ্তাহে আর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এবং জনসচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে ডিপফেকের ক্রমবর্ধমান বিপদ রুখতে ভারত সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।