ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বি.এস.এফ মাদক চোরাচালানের একটি বড়ো প্রচেষ্টাকে ব্যার্থ করেছে এবং ১৪১৫ বোতল ফেনডিল উদ্ধার করেছে।
মুর্শিদাবাদ, ১৪ ই ডিসেম্বর ২০২৩, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সতর্ক বিএসএফ পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৪১৫ বোতল ফেনসিডিলের চালান জব্দ করে চোরাচালানকারীদের একটি সতর্ক বার্তা দিয়েছিল। যখন চোরাচালানকারীরা ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেনডিলির এই চালানটি পাচার করার চেষ্টা করছিল। জব্দকৃত ফেনডিল বোতলগুলির আনুমানিক মূল্য ২,৯০,৭৩৪/- টাকা।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মুখপাত্রের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সালে বি.এস.এফ গোয়েন্দা বিভাগ তাদের দায়িত্বের ক্ষেত্র থেকে ফেনডিল পারাপারের একটি বিশাল চালান সম্পর্কে সীমান্ত ফাঁড়ি দেরামপুর, ১৪৬ ব্যাটালিয়ন, বিএসএফ -এর জওয়ানদের অবহিত করেছিল। তথ্যটি পাওয়ার সাথে সাথেই সীমান্তে মোতায়েন করা জওয়ানরা সতর্ক হয়ে যায় এবং সন্দেহজনক অঞ্চলে আক্রমণ চালায়। খুব সকালে প্রায় ৫ ঘটিকায় জওয়ানরা দেখেছিল যে, কিছু চোরাচালানকারীরা তাদের হাতে বড় ব্যাগ নিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দিকে এগিয়ে চলেছে। জওয়ানরা তাদের থামানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু জওয়ানদের সতর্কতা উপেক্ষা করে, চোরাচালানকারীরা ক্রমাগত আধিপত্যের লাইনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো। যখন জওয়ানরা তাদের চ্যালেঞ্জ জানায় এবং চোরাচালানকারীদের ধরার জন্য তাদের দিকে ছুটে যায়, তখন চোরাচালানকারীরা তড়িঘড়ি করে ব্যাগগুলি ফেলে দিয়ে ভারতের দিকে ফিরে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল অনুসন্ধানে কিছু প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছিল যার মধ্যে ১৩৬৫ বোতল ফেনডিল উদ্ধার করা হয়েছিল।
একই দিনে অন্য একটি ঘটনায়, ৭০ ব্যাটালিয়ন সীমান্ত ফাঁড়ি গোপালনগরের জওয়ানরা তাদের দায়িত্বের অঞ্চল থেকে ৫০ টি ফেনডিল বোতল উদ্ধার করেছে।
জব্দ করা ফেনডিল বোতলগুলি পরবর্তী আইনী পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শ্রী এ.কে.আর্য দক্ষিণ বঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিএসএফ জওয়ানদের এই সাফল্যের জন্য আনন্দ প্রকাশ করিয়া জানান যে, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কর্মীরা ডিউটিতে দেখানো সতর্কতার প্রতিচ্ছবি। তিনি কোনও পরিস্থিতিতে পাচারের পথ অবলম্বন না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এ কথাও বলেছিলেন যে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর কর্মীরা যে কোনও পরিস্থিতিতে সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনও ধরণের অপরাধ সংঘটিত হতে দেয় না এবং এতে জড়িত ব্যক্তিদের এড়িয়ে যাবে না।