বিএসএফ, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত মাদক চোরাচালানের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৭৪৮ বোতল ফেনসিডিল সহ একজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে৷
মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনা, ০৮ জানুয়ারী ২০২৪, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সতর্ক জওয়ানরা পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪পরগনা জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে মাদক চোরাচালানের বিভিন্ন প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে এবং মোট ৭৪৮টি ফেনসিডিলের বোতল সহ এক চোরাকারবারীকেও হাতেনাতে ধরে। চোরাকারবারীরা ভারত থেকে এসব ফেনসিডিল বোতল বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল। জব্দকৃত ফেনসিডিল বোতলের আনুমানিক মূল্য ১,৫৫,৭২০/- টাকা।
তথ্য অনুসারে, ০৮ জানুয়ারী, ১১৫ ব্যাটালিয়ন, মালদা জেলার সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ জওয়ানরা বিএসএফ গোয়েন্দা দ্বারা খবর পায় যে, ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে কিছু চোরাকারবারী, সীমান্তের দৌলতপুর ফাঁড়ি ১ নং নাকা পয়েন্টের দায়ীত্ব এলাকার মধ্যে ফেনসিডিলের একটি বড় চালান পাচার হবে। খবর পেয়ে দৌলতপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার চোরাকারবারীদের তৎপরতায় অতিরিক্ত নজরদারি বাড়াতে টহল দল মোতায়েন করেন। চোরাকারবারীরা সীমান্তের বেড়ার কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথে বিএসএফ দলকে দেখে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে চোরাচালানের জন্য আনা মালামাল ফেলে পালিয়ে যেতে শুরু করলেও কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা চোরাকারবারীদের ঘিরে ফেলে এবং একজন চোরাকারবারীকে ধরতে সফল হয়। ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত পাচারকারীর কাছ থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। একই দিনে দ্বিতীয় ঘটনায় দৌলতপুর সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরা ৫০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে।
ধৃত পাচারকারীর নাম আলিম পিতা রাকিবুল, গ্রাম-বাবুপাদা, জেলা-মালদা। গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারী জানায় যে সে বেশ কিছুদিন ধরে এই চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিল এবং তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে সে ফেনসিডিলের চালান বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে এসেছিল কিন্তু বিএসএফ সদস্যরা তাকে ফেনসিডিল সহ আটক করে।
একই দিনে অন্যান্য ঘটনায় বর্ডার ফাঁড়ি মোহনগঞ্জ, ৭৩ ব্যাটালিয়ন, বিএসএফ জওয়ানরা ৫০০টি ফেনসিডিল বোতল এবং বর্ডার ফাঁড়ি তারালীর জওয়ানরা ৯৮টি ফেনসিডিল বোতল জব্দ করে।
গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারী ও জব্দকৃত ফেনসিডিলের বোতল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শ্রী এ.কে. আর্য, পাবলিক রিলেশন অফিসার, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জওয়ানদের চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করা কৃতিত্বের জন্য আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে ডিউটিতে থাকা তার জওয়ানদের দ্বারা প্রদর্শিত সতর্কতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। অফিসার স্পষ্ট ভাষায় বললেন, তার সৈন্যদের চোখ থেকে কিছুই আড়াল করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, চোরাচালান সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রদান এবং সীমান্ত এলাকায় সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকান্ডের উপর কড়া নজর রাখার জন্য তাদের একটি চমৎকার দল রয়েছে।