১৬ জানুয়ারি ২০২৪:
কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণের প্রেস কর্ণারে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) ঠিক বিকেল চারটায় সাংবাদিক সম্মেলন করলেন পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সদস্যরা। মাঝে মাত্র একটি দিন। তারপরেই উদ্বোধন হবে ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। শেষ মুহূর্তে কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়ে অবগত করেছে গিল্ড ম্যানেজমেন্ট।
সেগুলি–
১। উদ্বোধন – ১৮ জানুয়ারি, বিকেল ৪টেয়। উদ্বোধক পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকবেন ভারতের ব্রিটিশ উপ-রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স এলিস সিএমজি, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ভারতের ডাইরেক্টর অ্যালিসন ব্যারেট এমবিই, বিশিষ্ট সাহিত্যিক বাণী বসু এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দপ্তের মন্ত্রী মহোদয়।
২। শ্রীমতী বাণী বসু কে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ড: রমাপ্রসাদ গোয়েঙ্কা সিইএসসি সৃষ্টি সম্মান পুরস্কার, যার অর্থ মূল্য ২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে।
৩। এবারের বইমেলায় সর্বাধিক প্রকাশক ও লিটল ম্যাগাজিনের অংশগ্রহণ – প্রায় ১০০০।
৪। বহুজাতিক প্রকাশনা সংস্থার সর্বাধিক অংশগ্রহণ। থাকছে ভারতের প্রায় সব রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা।
৫। প্রায় ২০টি দেশের অংশগ্রহণ – ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া, স্পেন, পেরু, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, কিউবা, ডমিনিকান রিপাব্লিক, গুয়াতেমালা, কোস্তারিকা, থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে থাকছে সে দেশের প্রায় ৫০টি প্রকাশনা সংস্থা।
৬। নটি গেট- লন্ডন টাওয়ার ব্রিজ গেট, বেথুন স্কুল গেট, তারাশঙ্কর ১২৫ গেট, লোরকা ১২৫ গেট, ফাদার দাঁতিয়েন ১০০ গেট।
৭। যোগাযোগ ব্যবস্থা – শিয়ালদহ থেকে সরাসরি মেট্রো পরিষেবা। মেলা উপলক্ষে চলবে বেশি সংখক মেট্রো। কমবে দুটি মেট্রোর মাঝের সময়ও। থাকছে পরিবহণ দপ্তরের বিশেষ বাস ও অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা। নির্দিষ্ট থাকবে অটো ভাড়া।
৮। মেলার সুরক্ষায় থাকবে পুলিশ ও অগ্নিওনির্বাপণ দপ্তের কর্মীরা। থাকবে সিসিটিভি। অগ্নিওনির্বাপন দপ্তরের কর্মীদের থাকবে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম।
৯। মেলায় শিশু দিবস- ২১ জানুয়ারি। ছোটদের উপহার দেওয়া হবে বই -পান্ডব গোয়েন্দার প্রথম অভিযান।
১০। মেলায় বরিষ্ট নাগরিক দিবস – ২৪ জানুয়ারি। সম্মাননা জ্ঞাপন করা হবে সাহিত্যিক আবুল বাশার, প্রকাশক দেবজ্যোতি দত্ত এবং পাঠক অধ্যাপক শাশ্বতী অধিকারিকে।
১১। থিম কান্ট্রি দিবস – ১৯ জানুয়ারি, বিকেল ৫.৩০ থেকে এসবিআই অডিটোরিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠান।
১২। বাংলাদেশ দিবস – ২০ জানুয়ারি, বিকেল ৫.৩০ থেকে এসবিআই অডিটোরিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠান।
১৩। বইয়ের প্রকাশক হিসেবে, আমাদের অনেক কাগজের প্রয়োজন হয়। আর এই কাগজের প্রয়োজনে কেটে ফেলা হয় অনেক গাছ। প্রকৃতির কাছে আমরা ঋণী। বলা যেতে পারে, এই ঋণ কিছুটা শোধ করার জন্য, এই প্রথম, বইমেলা চলাকালীন আমরা একদিন বৃক্ষরোপণ উৎসব পালন করব।
আপনাদের সবাইকে ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় স্বাগত জানাই।