বিএসএফ, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত চোরাচালানের চেষ্টাকে ব্যর্থ করেছে , ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে রৌপ্য অলঙ্কার, ওষুধ এবং ফিশপিন আটক করেছে
জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ, ০৭ মার্চ ২০২৪, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা শ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ১.৩৮০ কেজি রৌপ্য গহনা ,জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ৭,৮০,৫৬০/- টাকা। চোরাকারবারীরা ভারত থেকে বাংলাদেশ পাচারের চেষ্টা করার সময় আটক করা হয় এই সমস্ত জিনিস ।
তথ্য অনুযায়ী,৮২ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি গোংড়া, বিএসএফ-এর জওয়ানরা বিএসএফ-এর গোয়েন্দা বিভাগের কাছ থেকে সম্ভাব্য রূপা পাচারের খবর পান। এরপরই সীমান্তে নজরদারি বাড়ায় জওয়ানরা। রাত আনুমানিক ০৩৩০ ঘটিকায় , জওয়ানরা দেখতে পান যে চোরাকারবারীরা ভারতের দিকে সীমান্তের বেড়ার উপর দিয়ে একটি প্যাকেট ছুড়ে দিয়েছে। কর্তব্যরত জওয়ানরা অবিলম্বে অ্যাকশনে নেমে পড়ে এবং প্যাকেট সংগ্রহ করতে আসা চোরাকারবারিদের দিকে ছুটে যায়। জওয়ানদের তাদের দিকে আসতে দেখে পাচারকারীরা ভয় পেয়ে যায় এবং প্যাকেটটি সেখানে ফেলে ঘন অন্ধকার ও ঘরবাড়ির আড়ালে পালিয়ে যায়। এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একটি প্যাকেট পাওয়া যায় যা থেকে ১,৩৮০ কেজি রূপার অলঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও এদিন অন্যান্য ঘটনায়, ১৪৬ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি টিকলিছড়, বিএসএফের জওয়ানরা ১০০৬০টি সুখি ট্যাবলেটের পাতা এবং ১১৮ ব্যাটালিয়ন বর্ডার ফাঁড়ি সাহেবখালীর জওয়ানরা, বিএসএফ তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে ১৬ টি পলিব্যাগ আটক করে।
জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফ, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা শ্রী এ.কে. আর্য, ডিআইজি, এক বিবৃতিতে বলেছেন যে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ কারণে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতরা নানা সমস্যায় পড়ছেন। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।