বিএসএফ রূপা চোরাচালান বানচাল করেছে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ৫.২৮ কেজি রৌপ্য গহনা সহ এক চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে৷
উত্তর ২৪ পরগণা, ০১ আগস্ট ২০২৪, বিএসএফ-এর গোয়েন্দা বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে, বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ১০২ ব্যাটালিয়নের বর্ডার ফাঁড়ি পানিটারের জওয়ানরা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে রূপা চোরাচালান বানচাল করে এবং ৫.২৮ কেজি সহ একজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। রূপার গয়না যখন এই চোরাকারবারী ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিলেন। জব্দ করা গহনার মোট আনুমানিক মূল্য ৩,৬০,৩৭২/- টাকা।
বিএসএফ আধিকারিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ৩১ জুলাই বিএসএফ-এর গোয়েন্দা বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে, বর্ডার ফাঁড়ি পানিটারের কোম্পানি কমান্ডার সমস্ত জওয়ান এবং টহল দলকে সতর্ক করেছিলেন। ডিউটি চলাকালীন জওয়ান দেখেন একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বিদ্যাধরী নালার জলে একটি দড়ি ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। জওয়ান সেই ব্যক্তির দিকে ছুটে গেলেন, কিন্তু জওয়ানকে দেখে ওই ব্যক্তি দড়ি ছেড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর পরে, QRT-এর সাথে জওয়ান আশেপাশের এলাকায় পলাতক ব্যক্তিকে তল্লাশি করে। পরে তাকে ঝোপ থেকে আটক করা হয়। পরে, দড়িতে বাঁধা একটি ভারী ব্যাগ পাওয়া যায়, যা খুললে টেপ দিয়ে শক্তভাবে বাঁধা রূপার অলঙ্কার পাওয়া যায়। এরপর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটক ব্যক্তিকে জব্দকৃত মালামালসহ সীমান্ত চৌকি পানিটারে নিয়ে আসা হয়।
ধৃত ব্যক্তির নাম দেবনাথ, যিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঘোজাডাঙ্গার বাসিন্দা৷ জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তাকে এই কাজ দিয়েছিল একজন অজ্ঞাত ভারতীয় চোরাকারবারী। ড্রেন থেকে রৌপ্যের অলঙ্কারগুলো বের করার পর তাকে বাংলাদেশের আরেক চোরাকারবারীর কাছে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও তার আগেই তাকে আটক করে বিএসএফ। এই কাজের বিনিময়ে তাকে ৫০০ টাকা পাওয়ার কথা ছিল।
আটককৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত রুপোর গহনা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টমস স্টেশন ঘোজাডাঙ্গায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা শ্রী এ.কে. আর্য, ডিআইজি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ কারণে এ ধরনের অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা কোনো অবস্থাতেই আমাদের এলাকা থেকে চোরাচালান হতে দেব না।