ইকোসিস্টেম এর চক্রবূহ ও নির্বোধের ভারত দর্শন
সুনন্দ মিত্র
লিখবনা লিখবনা করেও লিখতে বসলাম। কিছুটা বিরক্তি থেকেই এই সিদ্ধান্ত।
যাইহোক বেশি ভ্যান্তারা না করে মূল বিষয়ে আলোকপাত করা যাক। এইযে চারদিকে এত অরাজকতা, বাংলাদশের হিন্দু নিধন, R.G.Kar হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুন, বার খেয়ে “ক্ষুদিরাম” এ সবই left liberal eco system এর কাজ।
যারা চল্লিশোর্ধ তাদের বেশিরভাগই জানে কিন্তু মানতে চায় না, একটা ছোট উদা:- ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন গরিবী হঠাও, হলো কি “গরীব” হঠাও, আরও আছে যেমন খটাখট ব্যাংক etc।
ছোটবেলায় আমরা অনেক আদি রস্মাতক জোকস বলেছি ও শুনেছি। বিবেকানন্দ রবীন্দ্রনাথ হয়ে হিন্দু মনিষীদের নিয়ে, যেখানে মা কালী থেকে দেবী সরস্বতী পর্যন্ত বাদ যায়নি। ১৯৭৮/৭৯এর আগে কখনও শুনেছেন?
আর এই left liberal eco system or Goebbels theory সবই কিন্ত বামেদের হাত ধরে প্রবেশ। এই থিওরী কিভাবে কাজ করে? এর কোন নির্দিষ্ট সূত্র নেই যখন যেমন তখন তেমন।
তাহলে কি এর থেকে মুক্তি নেই? অবশ্যই আছে, যেমন বিষে বিষে বিষক্ষয়। এর আন্টি ডোজ হচ্ছে আরও মারাত্বক eco system। মানে চড় মারলে যেন সেই হাতই যেন না থাকে। তবে কাজটা কঠিন।
এই বিষ কিন্তু আজ পশ্চিম বঙ্গের প্রতিটা মানুষের মধ্যেই কম বেশি ঢুকে গেছে। তাই এই ভয়ঙ্কর সিস্টেমকে যদি ধ্বংস না করা যায়, তার প্রমাণ!!!
জ্যোতি বসু থেকে বুদ্ধ হয়ে সুভাষ চক্রবর্তী। জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রী হওয়া রদ, মাদ্রাসা গুলো উগ্রপন্থীর আঁতুড় ঘর বলার পর দলে কোণঠাসা অবস্থা, আর সুভাষ চক্রবর্তী! তারই পার্টি তাকে যোগ্য সন্মান দেয়নি।
তবে এর মানে এই নয় যে বিজেপি বা আরএসএস এ থাবা বসায়নি, এই ভন্ড সাধু অম্বিকা থেকে রন্তিদেব এদের ব্যাকিং তো বিজেপি, আরএসএস এরাই করে।
তাই রোগ যদি সরাতেই হয় এই ভয়ঙ্কর সিস্টেমকে ধ্বংস করাটা অবশ্যই প্রয়জন। না হলে বামফ্রন্ট থেকে অতি বামফ্রন্ট হয়ে ওঠা এই নরখাদক সিস্টেমের বলি সবাইকেই হতে হবে। উদা:- কত দেবো?
শেষে একটা কথা জুড়ে দিই, কোনো বিজেপি আরএসএস বা হিন্দু সংগঠন আপনাকে বাঁচাবে না, তাই নিজেকে বাঁচাতে নিজেই প্রস্তুত হন। এই কথাটা কেন বললাম? কারণ আমি ভুক্তভুগী।