বাম থেকে অতি বাম।
সুনন্দ মিত্র
প্রথমেই বলে রাখি একটা অপরাধ দিয়ে আরেকটা অপরাধের বিচার করছি না। আগেও বলেছি আবারও বলছি বামে’রা যায়নি তারা অতি বাম হয়ে ফিরে এসেছে। কেন বলছি?
বিগত তেরো বছরের এই রাজ্যের case history study করুন উত্তরটা পেয়ে যাবেন। কামদুনি থেকে সন্দেশখালী হয়ে সাম্প্রতিক আরজিকর, money laundering, যৌণ কেলেংকারী, তোলাবাজি, নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি আনুগত্য ও তোষণ।
এইবার এসবের আঁতুড় ঘরে ফিরে যাই, বানতলা থেকে কোলাঘাট হয়ে মেহতা খুন, ভিখারী পাসোয়ান, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ধর্ষণ, সঞ্চয়িতা অর্থনৈতিক (আরও অনেক আছে, এই সারদা, রোজ ভ্যালী এগুলো শুরু কিন্তু সেই জমানায়, সেটা ভুলে গেলে চলবেনা) অনেক বামপন্থী নেতাই কিন্তু sex scandalsএ জড়িত। কঙ্কাল কান্ড তো নিশ্চয় মনে আছে? আর সাই বাড়ি?
সমস্যাটা হচ্ছে সেই জমানায় মিডিয়া এতো স্ট্রং ছিল না আর ইন্টারনেটও ছিল না। আর এখন প্রতিটা মানুষই সাংবাদিক due to smart phone। একটা জিনিষ মস্তিষ্কে একটু জোর দিয়ে ভাবুন সেই জমানায় কোন বড় মাপের তদন্ত হলেই সরকারি দফতরে বা গুরুত্বপুর্ন জায়গায় আগুন লেগে তথ্য ভস্মীভূত হয়ে যেত, কারণ আর কিছুই নয়, প্রমাণ লোপাট। সেটিং সে জমানাতেও ছিল এ জমানাতেও আছে এটা অস্বীকার করা যায় না।
পয়সা দিয়ে খিস্তি খাওয়া এটা কিন্তু বামেদের মস্তিষ্ক প্রসূত একটা ট্রিক্স। বলা অনস্বীকার্য ফান্ডিং কিন্তু সরকারই করে সব সময় বিরোধীদের (সব ক্ষেত্রে নয় ব্যতিক্রমও আছে) ধমকানো চমকানো পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া, খুন করে তাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গণহত্যার রূপ দেওয়া। তারপর ঔদ্ধত্য। করেছি বেশ করেছি। তারপর চটি চাটা বুদ্ধিজীবীদের পথে নামিয়ে crisis manage ভুলে গেছেন?
তাই বামেদের এই প্রতিবাদে আমার কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কোন অপরাধীর কাছে আরেক অপরাধের প্রতিবাদ, শুধু হাস্যকরই নয় লজ্জাজনকও বটে।
এবার ওরা direct নামেনি, বামপন্থী তো তাই বাঁকা পথে অংশ গ্রহণ করেছে সাধারণ মানুষ সেজে। আমি অন্তত অবাক হবনা যদি কোনোদিন জানতে পারি এই আন্দোলন বানচাল করার জন্য অপরাধীদের সাথে ওরা গোপন শলাপরামর্শ করেছে।
শেষ করার আগে সেই ধান্দাবাজের ধ্রুব সত্য উক্তিটা আবার মনে করিয়ে দিই “৩৪ বছরের রাজত্বে শ্মশান হয়ে রাজ্যে তো অশরীরীর তাণ্ডব হবেই”।
তবে এবারের প্রতিবাদটা কোন রাজনৈতিক ইস্যু নয় সাধারণ মানুষের আবেগের স্বতস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ। দুনিয়ার বার জনতার মার। যে মারা গেছে সে যে সে কেউ নয়, এই বঙ্গের কারও বোন কারও মেয়ে কারও নাতনি, যে চিরশত্রু ঘটি বাঙালকে এক ঘাটে জল খাওয়াতে পারে সে কোন সাধারণ মেয়ে হতে পারে না। আমি নাস্তিক প্রকৃতির তাও বলছি শ্রী কৃষ্ণের জন্ম বৃত্তান্তটা একটু পড়ে দেখুন মহামায়ার দেখা পাবেন।
আমি তাকে ন্যায় বিচার দেওয়ার কে, সে তার বিচার নিয়েই ছাড়বে, আমরা তো নিমিত্ত মাত্র।আমার সৌভাগ্য যে আমি তার হয়ে এই লড়াইয়ে সামিল হতে পেরেছি।
Justice for all who need the justice!!!
*** Published under freedom of expression and view expressed neighter agreed nor denied by IBG NEWS***