আত্মঘাতী বাঙালির বোধোদয় এর অকাল বোধন ও আবেগের পতন কাল।
হীরক মুখোপাধ্যায়
জানিনা কোন গণ্ডমূর্খ ‘মাননীয়া দিদি উৎসবে ফিরতে বলেছেন’ নামাঙ্কিত বালখিল্য রচনাটা লিখেছেন।
যিনি লিখেছেন হয় তিনি অদ্যোপান্ত নির্বোধ নতুবা ধর্ম রীতি রেওয়াজকে অশ্রদ্ধা করা নিখাদ বামপন্থী মনোভাবাপন্ন এক ব্যক্তি।
প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমন কথা বলছি :-
এখন শোক নয় বরং প্রতিশোধ নেওয়ার তাগিদে ফুটছে বাংলা, তাই কালো ঘুড়ি, কালো গ্যাস বেলুন ওড়ানোর স্বার্থকতা কী তা একমাত্র লেনিন, স্টালিন, মার্ক্স, এঙ্গেলসদের বিদেহী আত্মাই একমাত্র বলতে পারবেন ?
মহিলারা চোখে প্রতিশোধের আগুন না জ্বেলে কেন প্রতিরোধহীন মহিলার মতো চোখে ব্যথার ছদ্ম রক্ত আঁকবেন !
সরকার চাইলেই যেমন মৃতার পিতৃদত্ত নাম পরিবর্তন করতে পারেন না, তেমনই চারটে আকাট মূর্খ চাইলেও ‘দুর্গামণ্ডপ’ ‘তিলোত্তমামণ্ডপ’ হতে পারে না।
দুর্গা শক্তির প্রতীক। ষষ্ঠীর দিন মহাশক্তির জাগরণ (বোধন) না করে কেন মানুষ এক নির্যাতিতার বোধন করবেন ?
লেখক কী চাইছেন ঘরে ঘরে নির্যাতিতার সংখ্যা বাড়ুক ?
অন্ধকারই হচ্ছে শয়তান বা অসুর/দানব বা প্রেতের আশ্রয় স্থল।
আমরা অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয় রূপে যখন দুর্গোৎসব করি, তখন কেন ঘর মণ্ডপ পরিবেশ অন্ধকার রেখে পরিবেশকে শুভ শক্তির স্থান না বানিয়ে অশুভ শক্তির আশ্রয় স্থান বানাব ?
সবাই জানে অলক্ষ্মীর বাস অন্ধকার আবর্জনার মাঝে, আর লক্ষ্মী বসবাস করেন আলোকময় শুদ্ধ স্থানে।
তাই লক্ষ্মী পুজোর দিন বাংলাবাসী কেনো ঘর দুয়ার অন্ধকার রাখবেন ?
যদি মনে সদিচ্ছা থাকে তাহলে প্রতিটা দুর্গামণ্ডপে মহাষ্টমীর অঞ্জলি প্রদান শেষে বরং ‘মা’-এর চোখের দিকে তাকিয়ে সবাই মিলে একযোগে উচ্চ রবে শপথ নিন, ‘অদ্যোপান্ত দুর্নীতি পরায়ণ এই সরকারকে আর একটা ভোটও দেব না।’