মানবতার কাছে এতটুকু আশা করতে পারি তো!
ড.ধীরেশ চৌধুরী
রাত্রি একটা বেজে গেছে। এই মুহূর্তে অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছেন নিশ্চিত। অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশ। আরামে ঘুমানোর জন্য আদর্শ, তাই না?
একটু চোখ বুজে ভাবুন তো এই মুহুর্তে ওরা ভিজছে!, ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে! ওরা আমাদের ভাই বোন, ছেলে মেয়ের বয়সী। কতই বা ওদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর!!!, ফুটপাতে সারা দিন রাত্রি কাটাচ্ছে, বৃষ্টিতে ভিজে। ওদের শরীরের তোয়াক্কা না করে। জানিনা কতদিন? কিসের জন্য লড়ছে ওরা? নিজেদের কোন স্বার্থে? কোনও চেয়ারের জন্য!!! না, একেবারেই না। একটা ঘুন ধরা, আপাদমস্তক দুর্নীতি পরায়ন স্বাস্থ্য পরিষেবার বদলের জন্য। যাতে সামগ্রিক ভাবে লাভবান হবো আমরা প্রত্যেকে। রাজ্যটা বাঁচবে। কিসের ভয় এতে কিছু লোকের!!!, কেন এত প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা? কাদের আড়াল করার চেষ্টা? একবার প্রশ্ন করুন! ওদের মা বাবার বা অভিভাবকের জায়গায় নিজেদের রেখে প্রশাসনের লোকেদের একটু ভাবতে বলছি, আগে তো মানুষ আপনারা নাকি, তারপরে মন্ত্রী, এম পি, এম এল এ, বিরোধী, প্রশাসক এসব পরিচয়। একটু ভাবুন, প্লীজ!…
এই অঝোর বৃষ্টিতে যাবতীয় সমস্ত দায়িত্ব পালন করেও আমাদের সহযোগী ও আপনাদের খুব প্রিয় চিকিৎসক ডাঃ অরিজিৎ দাস Arijit Das ওদের ওখানে… ও জানালো এই সময় দরকার টাওয়েল, ফোল্ডিং খাট, কট, ওয়াটার প্রুফ ফিলার ইত্যাদি। ক্যানোপি বা টেন্ট মোটামুটি পর্যাপ্ত। আমাদের বিভিন্ন চিকিৎসকদের সংগঠন থেকে ব্যবস্থা হয়েছে। খাবার ও পর্যাপ্ত। এই জিনিস গুলোই মূলত এখন দরকার। ছাতা ও দিতে পারেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কে মোকাবিলা করাটাই এখন মুখ্য বিষয়। তাই আবেগের বশে না করে প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো দিতে পারলে ভালো হয়।
আর একটা বিষয় সুবিচার ও নিরপেক্ষ ও তৎপর বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে উকিল নিযুক্ত করা হয়েছে। দীর্ঘ লড়াইয়ে থাকতে গেলে তার জন্য অর্থের দরকার। সেটা একটা প্রতিবন্ধকতা। কারণ আমাদের কেউ সাহায্য করার নেই, আপনারা ছাড়া। কোন রাজনৈতিক মদত বা সহযোগিতা নিতে আমরা অপারগ। তাই এই ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি। অথেনটিক সোর্স দেখে সেটা আপনারা যেকোন চিকিৎসক সংগঠনকেই করতে পারেন। আমাদের সাথে বা আমরা প্রত্যক্ষ ভাবে প্রোটেক্ট দ্যা ওয়ারিয়র্স Protect The Warriors – PTW সংগঠনের সাথে যুক্ত। আপনারা বিশ্বাস যোগ্য মনে করলে আমাদেরকেও করতে পারেন।
লেখক পরিচয়:
ড.ধীরেশ চৌধুরী , বার্ধক্য জনিত রোগ বিশেষজ্ঞ ও সমাজ সেবক, দেশের প্রত্যন্ত এলাকার প্রান্ত বাসী মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। সকলের প্রিয় মিষ্টভাষী মানুষ যখন প্রতিবাদী কলম ধরেন তখন সময়ের দলিল হয়ে লেখা ফিতে ওঠে। ডাক্তার পরিচয় ছাড়াও তিনি সাহিত্যিক, কবি ও নিবন্ধকার।