বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে কবি ফারুক আহমেদকে বিশ্বকবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করেন পবিত্র সরকার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার কলকাতার নলিনী গুহ সভাঘরে বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে কবি ফারুক আহমেদকে বিশ্বকবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করেন প্রাক্তন উপাচার্য ও ভাষাবিদ পবিত্র সরকার। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয় ২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক আমার ভারত পত্রিকা।
প্রতিবছরের ন্যায় এ-বছরেও আন্তর্জাতিক আমার ভারত পত্রিকা বাঙালি বিশ্বকোষ এবং সহযোগী আশা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ভারত এবং বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন প্রান্তের ১০০ জন কবি সাহিত্যিক শিল্পী দানশীল ব্যক্তিত্বকে সম্মানিত করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠান মঞ্চে বিশ্বে এই প্রথম একটি বিশেষ নামে পুরস্কৃত হলেন উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশন সংস্থার কর্ণধার ফারুক আহমেদ।
১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার অ্যালবার্ট হলে (বর্তমানে কফি হাউস) বক্তব্য রাখতে গিয়ে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বলেছিলেন, ‘‘আগামী স্বাধীন ভারতের বাঙালি জাতির জাতীয় কবি হবেন কাজী নজরুল ইসলাম।’’ সেদিন একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। অবিভক্ত ভারতের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে কবির জন্ম। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা-সহ কবি পরিবার বসবাস শুরু করেন বাংলাদেশে।
বিশ্বের অসহায় মানুষের কবি, প্রেমের কবি, বিপ্লবী কবি, সাম্যবাদের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর জীবন, আত্মকাহিনি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীময়। আজ পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রে বাংলা ভাষাভাষীর মানুষের উপস্থিতি ঘটেছে। আর সেই বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জাতীয় কবি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি শুধু আজ আর বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তিনি আজ বিশ্বময়, তিনি আজ বিশ্বকবি, তাঁর সেই ১৯৩১ সালের কুলি মজুর কবিতা তিনি দার্জিলিংয়ে বসে লিখেছিলেন, ১৯৩১ সালে তাঁর লেখা আমাদের মনে করিয়ে দেয় আজ,
‘‘দেখিনু সেদিন রেলে
কুলি বলে এক বাবু সাব
তারে ফেলে দিল নিচে ঠেলে–
চোখ ফেটে এল জল
এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল।’’
তিনি তো সেদিন জগতের মানুষের কথা ভেবেছিলেন। তাঁর হৃদয়ে জগতের অসহায়, অবহেলিত, অবদমিত, পদদলিত, মানুষের কথা তিনি লিখেছেন। তিনিই তো আমাদের বিশ্বকবি কাজী নজরুল ইসলাম।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ আমরা ১০০ জন গুণী মানুষের সঙ্গে উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ও কবি ফারুক আহমেদকে ‘বিশ্বকবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি সম্মান’ পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়।
জানিয়েছেন আব্দুল করিম শিশু সাহিত্যিক মুখ্য ব্যবস্থাপক ‘বাঙালি বিশ্বকোষ’।