মালদহের পশ্চিমাঞ্চলে বিএসএফ-এর বড় অভিযান, হবিবপুর গরু মেলায় পাচারের জন্য অবৈধভাবে রাখা ১৭ টি গরু সহ পাচারকারীদের খপ্পর থেকে ২৩ টি গরু উদ্ধার।
জেলা মালদা, ০১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে
বিএসএফ দক্ষিণ বেঙ্গল সীমান্তের সজাগ জওয়ানরা , পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ৭ কিলোমিটার ভিতরে একটি গোয়েন্দা ভিত্তিক অভিযানে, হাবিবপুর পশুর হাট থেকে বাংলাদেশে পাচারের জন্য অবৈধ অর্থের সাথে রাখা ১৭ টি গরুকে মুক্ত করেছে। বিএসএফ জওয়ানদের দেখতে পেয়েই পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। এসব গরু সম্পর্কে জানতে চাইলে মেলার ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, মেলার রেজিস্টারে এসব গরুর কোনো নথি নেই এবং সম্ভবত এগুলো বাংলাদেশে পাচারের জন্য আনা হয়েছিল, পরে বিএসএফ জওয়ানরা গরুগুলো নিয়ে যায়। তাদের হেফাজত. এছাড়াও মালদায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অন্যান্য অভিযানে আরও ০৬ টি গবাদি পশু চোরাকারবারিদের কবল থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ৩০.০৯.২০২৪ সন্ধ্যা ০৬ টায় বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগ হবিবপুর পশুর হাটে গরু নিয়ে চোরাকারবারিদের উপস্থিতির সুনির্দিষ্ট তথ্য পায়। খবর পেয়ে বর্ডার পোস্ট সুখ নগর, ১২ তম ব্যাটালিয়নের কর্মীরা হাবিবপুর গরুর হাটে পৌঁছে গাছের নীচে বাংলা বংশোদ্ভূত মাঝারি আকারের ষাঁড় দেখতে পান। বিএসএফ দলকে দেখে চোরাকারবারীরা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ১৭টি (মাঝারি আকারের) গবাদিপশু পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। কোম্পানী কমান্ডার হাবিব বাজার কমিটির সেক্রেটারি জনাব প্রতুল চন্দ্র বর্মণকে এই গবাদি পশুর মালিকের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বলেন, বাজার কমিটিতে এসব গরুর কোনো রেকর্ড নেই। তিনি আরো বলেন, পাচারের উদ্দেশ্যে এসব গবাদিপশু এখানে আনা হতে পারে। এরপর জওয়ানরা সব গরু বাজেয়াপ্ত করে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে।
এছাড়াও এদিন অন্যান্য ঘটনায় ১১৫ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি নিমতিতা, ১২তম ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি আদমপুর ও ১৪৬ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি দয়ারামপুরের জওয়ানরা চোরাকারবারীদের কবল থেকে ৬টি পশু মুক্ত করে।
সমস্ত গবাদি পশু ই-ট্যাগিংয়ের পর ধ্যান ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুখপাত্র, বিএসএফ,দক্ষিণ বেঙ্গল সীমান্তের , বলেছেন যে বিএসএফের সময়মত পদক্ষেপ শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে গবাদি পশুর অবৈধ চোরাচালান রোধ করেনি বরং ভারতের সীমান্তে অপরাধ মোকাবেলায় বাহিনীর অব্যাহত প্রতিশ্রুতিও দেখায়।