কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ (১৪ অক্টোবর ২০২৪ — ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২)।
“কর্নেল নীলাদ্রি সরকার” এর লেপিডোপটেরিস্ট শব্দ আর প্রজাপতি খুঁজে বেড়ানর মতো ,আজ বাঙালি খুঁজে বেড়ান ভালো সাহিত্য ও তাঁরসাহিত্যিককে । কোনো সন্দেহ নেই ষাটেরদশক পরবর্তী অন্যতম সাহিত্যের আঙিনার কর্নেল আমাদের সিরাজ সাহেব ।
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ৯৫তম জন্মদিনে, গত ১৪ অক্টোবর ২০২৪, মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার অন্তর্গত রণগ্রাম গ্রামের পাশে দ্বারকা নদীর সেতুতে তাঁর পূর্ণাবয়ব মূর্তির উদ্বোধন হলো। উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব সরকার।
কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে স্থাপিত হল কিংবদন্তী-প্রতিম এই কথাসাহিত্যিকের মূর্তি। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকেরা এবং লেখক পরিবারের সদস্যরা। আর ছিলেন অগণিত সিরাজপ্রেমী স্থানীয় মানুষ।
দ্বারকা নদীর অদূরেই সিরাজের জন্মস্থান খোশবাসপুর। এই নদীর অববাহিকায় বিস্তীৰ্ণ গহন জঙ্গলে, তৃণভূমিতে তাঁর প্রকৃতিপাঠের শুরু। প্রকৃতিই ছিল তাঁর ঈশ্বর। আর এই প্রকৃতির সন্তানেরাই ছিল তাঁর সাহিত্যের বিষয়।
প্রয়াত এই কথাসাহিত্যিকের স্মৃতিতে খোশবাসপুর গ্রামের যুবকরা গড়ে তুলেছে ‘সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ স্মৃতি সংঘ’। এই সংঘের পক্ষ থেকে সিরাজের জন্মদিন উপলক্ষে ১৪ ও ১৫ অক্টোবর দু’দিনব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
যে গ্রামজীবন ও গ্রামীণ মানুষের কথা সাহিত্যে তুলে ধরাই লেখকজীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন সিরাজ, সেই গ্রামাঞ্চল তাঁকে ভোলেনি। বরং তাঁর প্রতি আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে এখানকার মানুষদের মধ্যে।
ছবি: Amitabha Siraj ও দেবদাস রজক মায়াবী।