গান’ জিনিসটা কি ছিল তাঁর কাছে? এক অতীব রূপময় কলাবিদ্যা কেবল, তা তো নয়! গান তার পথের কড়ি, নিজস্ব ও নিঃসৃত শ্বাস। গান না গেয়ে উঠলে, গানের শরীরে নিজের সর্বসমর্পণের স্বরটি গেঁথে না দিলে, তাঁর বেঁচে থাকার জো নেই। সমগ্র যাপন জুড়ে তিনি হয়ে ওঠেন গায়ক থেকে গান-বানানিয়া, আর যেন নিজেই এক আশ্চর্য ‘গান’। মধ্যদিনে পাখিও নীরব হলে, একাকী রাখালের মত তার বাঁশি বাজিয়ে চলা। গান তাঁর কাজ, তাঁর রাজার রাজার নির্দেশ। আনন্দে জজ্ঞে বাঁশি বাজানোর ভারটুকু তার। সে বড় মধুর, অথচ তীব্র ভার।
একতারার মত গানের বেদন বয়ে নিয়ে চলা। দিনের আলোয় তো নয়, রাত্রি আঁধার হলে সারে সারে তারা হয়ে ফুটে থাকবে গান। গান মৃত্যুর পার থেকে জাগিয়ে তুলবে বারবার। ‘ তুমি আমায় নেবে না তোমার সাথে’? তোমায় গান গেয়ে ভোলাবো। তুমি আমার ব্যথার আড়ালেও দাঁড়িয়ে থাকলে, গান দিয়েই তোমায় ছুঁয়ে দেব আমি। আমি যে গান গেয়েছিলেম, মনে রেখো।
আগামী ১৩ ই নভেম্বর প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী শ্রাবনী সেন এর মিউজিক একাডেমির নিবেদন ‘গানের সুরে আমার মুক্তি’ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, পিসি চন্দ্র গার্ডেন্স-দু নম্বর গেট।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন শ্রাবনী সেন।