কেন্দ্র সরকার প্রদত্ত মাসিক অনুদান হাতে পাচ্ছেননা রাজ্যের ৪২,৮৮৫ পার্শ্বশিক্ষক
এম রাজশেখর (১৫ নভেম্বর ‘১৯):- “কেন্দ্র সরকার প্রদত্ত মাসিক অনুদান হাতে পাচ্ছেননা রাজ্যের ৪২,৮৮৫ জন পার্শ্বশিক্ষক”, এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক পর্যায়ে কর্মরত পার্শ্বশিক্ষকগণ।
বিধাননগর অঞ্চলে অবস্থিত রাজ্য শিক্ষা বিভাগের প্রধান কার্যালয় ‘বিকাশভবন’-এর সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীরা এই বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
বলে রাখা ভালো, আজ পঞ্চম দিনে পদার্পণ করল পার্শ্বশিক্ষক সমাজের এই লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচী।
বিক্ষোভকারীরা পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন এই মুহুর্তে রাজ্যে মোট পার্শ্বশিক্ষকের সংখ্যা ৪২,৮৮৫ জন।
এদের মধ্যে ১৯,৮৭১ জন প্রাথমিক বিভাগের পার্শ্বশিক্ষক এবং বাকি ২৩,০১৪ জন উচ্চ প্রাথমিক পর্যায়ে কর্মরত পার্শ্বশিক্ষক।
সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিক পর্যায়ে একজন পার্শ্বশিক্ষকের মাসিক রোজগার হওয়া উচিত ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১৫ হাজার টাকা দেবে কেন্দ্র সরকার ও বাকি ১০ হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে উচ্চ প্রাথমিক পর্যায়ে একজন পার্শ্বশিক্ষকের মাসিক রোজগার হওয়া উচিত ৩৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা দেবে কেন্দ্র সরকার ও বাকি ১৩ হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার।
কিন্তু কোনো মাসেই কেন্দ্র সরকার প্রদত্ত অনুদান রাশি পাচ্ছেননা প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মরত পার্শ্বশিক্ষকগণ।
ফলতঃ প্রতিমাসে একজন প্রাথমিক পার্শ্বশিক্ষক ১৫ হাজার টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিক পর্যায়ে কর্মরত পার্শ্বশিক্ষক ২০ হাজার অতিরিক্ত অর্থ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”
পার্শ্বশিক্ষকগণ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছেন, “২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘৩ বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে সকল পার্শ্বশিক্ষককে স্থায়ী শিক্ষক রূপে নিয়োগ করবে সরকার।’
কিন্তু ৩ বছরের জায়গায় ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকার যেমন পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ী করেননি, তেমনি প্রতিমাসে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান থেকে পার্শ্বশিক্ষকদের বঞ্চিত করে চলেছেন।”
পার্শ্বশিক্ষকদের একাংশের ধারণা, “আজ দিকে দিকে যে কন্যাশ্রী, সবুজসাথী-র এত বাড়বাড়ন্ত সম্ভবতঃ তার পেছনে আছে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য প্রদত্ত কেন্দ্রীয় অনুদান রাশি।”