শতরূপা তোমাকে কিছু বলার ছিল সুমনের (অষ্টম ভাগ) – তিব্বতি ছেড়া পুঁথি আর গ্লোবাল পলিটিক্স
সুমন মুন্সী,কলকাতা
(আগে যা হয়েছে জানতে ক্লিক করুন প্রথম ভাগ , দ্বিতীয় ভাগ, তৃতীয় ভাগ, চতুর্থ ভাগ,পঞ্চম ভাগ,ষষ্ঠ ভাগ, সপ্তম ভাগ, অষ্টম ভাগ, নবম ভাগ)
“দিস ইজ ইওর গেস্ট হাউস, ‘গেস্ট হাউস রিভারসাইড রুদ্র’স হাট'”, বললেন আদেন ।
নমস্কার করে বিদায় নিলেন দুজনে ।
সন্ধের পর কুলু উপত্যকায় ঠান্ডা জমিয়ে পরে। রাতের রাস্তার আলো আর বাজারের কোলাহল থেকে দ্রুত নিজের হোটেলের রিসেপশনে চললেন রিনচেন লামা ।
“গুড ইভনিং স্যার, রুম নম্বর প্লিজ”, বললেন রিসেপশনের মেয়েটি। মেয়েদের কাজ করতে দেখলে রিনচেন খুশি হয়। যে জাতি নারী জাতিকে সম্মান করতে পারে না সে জাতি কোনো দিন এগোতে পারে না। প্রাচীন ভারত জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন পেয়েছিলো গার্গী,মৈত্রী,অনুসূয়া দেবযানী দের সক্রিয় অংশ গ্রহণে । কল্পনা চাওলা, উইলিয়ামস এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী একজন মেয়ে ছিলেন । নারী শিক্ষাই উন্নতির সোপান । মা শিক্ষিতা হলে জাতি এগোয় সহজে ।
“গুড ইভনিং , রুম ৩০৭”, বললেন লামা ।
“অর্ডার ইওর ফুড স্যার, হ্যাভ গুড ভেজ ডিসেস “, বললেন মেয়েটি ।
“নো থাঙ্কস ই হ্যাভ ফুরুটস”, হেসে এলিভেটরের দিকে চললেন ।
ঘরে ঢুকে এক নজরে চারদিকে দেখে নিলেন রিনচেন। সাবধানের মার্ নেই ।
আজ কোজাগরী পূর্ণিমা, কুলু উপত্যকা ঘরের জানলা দিয়ে মোহময়ী দেখাচ্ছে, মনে হচ্ছে দিন । ল্যাপটপ দ্রুত খুলে স্পেশাল ওয়াইফাই স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড কানেকশন ও করলেন। ধর্মশালা ও দিল্লি দু জায়গায় কানেক্ট করতে হবে ।
“হ্যালো হোলি বয়,হ্যালো হোলি বয়”, হেডফোনে ভেসে এলো সেকেন্ড ইন কমান্ডার এর গলা।
“হোলি বয় স্পিকিং”, উত্তর দিলেন রিনচেন ।
“ওয়েট, কানেকটিং মিনিস্টার মংক”। কিছুক্ষন সেতার বাজার পর আর একটি কন্ঠ যোগ দিলো ।
“প্লিজ টাইপ ইওর সিকিউর কোড ফর দা মিটিং”, বললেন কমান্ডার অজিত মিশ্র চিফ ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইনচার্জ।
রিনচেন মোবাইল অথেন্টিকেটর দেখলো, নতুন কোড এসেছে । টাইপ করে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা তারপর মেসেজ এলো ইউ অর এন্টারিং সিকিউর রুম মেক সিওর নো ওয়ান ওয়াচিং ইওর স্ক্রিন । ওপেন ইওর ক্যামেরা । এবার রিনচেনের ফেস স্ক্যান হলো । স্ক্রিন এ মেসেজ এলো অল ক্লিয়ার ।
স্ক্রিনে ভেসে উঠলো দুটি অন্য মুখ একটি অজিত স্যার, অন্যটি একজন লামা।
রিনচেন জোড় হাতে নমস্কার করলেন ।
“হোয়াট ইস দা নিউস রিনচেন স্যার, ডিড ইউ গেট দা ফাইনাল আইটেম”, অজিত স্যার প্রশ্ন করলেন ।
“ওয়াজ আওয়ার ইনপুট কারেক্ট, বুড়াবাবা নোজ দা ফাইনাল লোকেশন?”, এবার প্রশ্ন করলেন মংক ।
“ইয়েস এন্ড নো”, উত্তর দিল রিনচেন ।
“দি ওল্ড প্রিস্ট নিউ ব্যাট দ্যাট প্লেস হস্ বিন কম্প্রোমাইজড লং ব্যাক। গেভ মে এন আইডিয়া, গোয়িং টু মানালি হিড়িম্বা টেম্পল। ফাইনাল আনসার ওয়েটিং দেয়ার”, বললো রিনচেন ।

“ব্যাট হোয়াই মানালী, এনি মেজর লিড”, প্রশ্ন করলেন অজিত মিশ্র। অজিত মিশ্র ভারত সরকারের একজন দুর্দান্ত আন্ডার কভার এজেন্ট ছিলেন, বার্মা, পাকিস্তান ,ইরান সহ সেরা কিছু ইন্টেলিজেন্স কাজ করেছেন। লোকে বলে খালিস্তান ও মনিপুর টেররর কন্ট্রোলে তিনি মূল কান্ডারী । সবাই সম্মানের সাথে কথা বলেন| এমনকি প্রধানমন্ত্রী যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আগে অজিতজীর মত নেন ।
“বুড়া বাবা টোল্ড, হোয়েন দা লিপুথুরা মংক কিলড টু মেন্ ফট ওভার দা মানুস্ক্রিপ্ট| ওয়ান মংক অফ দা মনাস্ট্রি আদার ওয়ান এ প্রিস্ট অফ তুঙ্গনাথ টেম্পল। বুড়াবাবা এন্ড প্রিস্ট রান আওয়ে উইথ হাফ অফ দা মানুস্ক্রিপ্ট রেস্ট হাফ ওয়েন্ট উইথ দা লামা এন্ড ল্যান্ডেড ইন আওয়ার মিউজিয়াম ।”, বললেন রিনচেন ।
“তুঙ্গনাথ ফাইন ব্যাট হোয়াই মানালি।”, এবার ধারামশালার লামা প্রশ্ন করলেন ।
“বিকজ, দে ওয়েন্ট টু হিড়িম্বা টেম্পল আজ তুঙ্গনাথ প্রিস্ট হ্যাড আঙ্কেল দেয়ার এজ প্রিস্ট। কেপ্ট ইট দেয়ার সিক্রেট। অনলি তুঙ্গনাথ প্রিস্ট এন্ড হিজ আঙ্কেল প্রিস্ট অফ হিড়িম্বা টেম্পল নোজ দা লাস্ট লোকেশন।”, বললেন রিনচেন ।
“তুঙ্গনাথ প্রিস্ট ডেড লাস্ট উইক ইন এ মিস্টেরিয়ুস কন্ডিশন ইন হিজ রুম, ইন্টেলিজেন্স সেজ কম্প্রোমাইজড,” চিন্তিত মুখে বললেন অজিত জী।
“স্যার, নট এ প্রব্লেম, হ্যাভ হিড়িম্বা টেম্পল প্রিস্ট নম্বর, বুড়াবাবা গেভ, আই উইল মুভ টুমোরো “, বললো রিনচেন ।
“অনাদার পয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স ইনপুট কেম। ওয়ান স্কুল মাস্টার আস্কিং এবাউট রিনচেন লামা ইন এন্ড অ্যারাউন্ড পেলিং, হি ওয়েন্ট টু পেময়েটসি মনাস্ট্রি ইভেন ।, বললেন অজিত জী ।
“আওয়ার টীম অলসো ইনফর্ম টু ম্যান নেমড পার্থ সমাজপতি এন্ড মনি ছেত্রী বোথ স্কুল টিচার লুকিং ফর ইওর ইনফরমেশন”, বললেন হিস্ হলিনেসের অফিসের লামা ।
“নট টু ওরি দে হ্যাড বিন টু মাই প্লেস এন্ড দের ডেড ফ্রেন্ড ওয়াস লুক এ লাইক।” , ইঙ্গিতপূর্ণ হাসি হাসেন রিনচেন লামা।
অজিত জী জোরে হেসে ওঠেন বলেন, “কেয়ার ফুল সাম বাঙ্গালী আর আনপুটডাউনেবল ইন ডিড।ব্যাট বি কেয়ারফুল এমআই ৬,চাইনিজ ইন্টেলিজেন্স, সিআইএ অল আর বিহাইন্ড । ডিস্ হাজ্ বিকাম এ গ্লোবাল জ্যাকপট।””
রিনচেন হেসে তাকিয়ে থাকেন।
“ওকে,উই হ্যাভ ট্রান্সফারেড ৫ লাখস থ্রু ধর্মশালা ফর এক্সপেন্সেস, স্পীডপ প্যান্থার, ওভার এন্ড আউট”, অজিত জী মিটিং ডিসকানেক্ট করে দিলেন।
আস্তে আস্তে জানলার কাছে দাঁড়িয়ে কোজাগরী পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে দেখতে ছোট বেলার কথা মনে পরে যেতে থাকে রিনচেনের। মা নাড়ু বানাতেন , আর রিনচেন বসে থাকতেন পাশে যদি একটা মাটিতে পড়ে যায় সে পাবে। ঠাকুমা ইচ্ছা করে একটা ফেলে দিয়ে হেসে বলতেন, “ঠাকুর আর ফেলবে না,কেটে পর “। পুজোর ভোগের খিচুড়ি , লাবড়া, ফুলকপির তরকারি, [পায়েস সব বাবা রান্না করতেন তার পর সন্ধ্যাবেলা পুজো । নিষ্ঠা সহ সব কাজে মা আর ঠাকুমা সাহায্য করতেন। নিচতলায় হল ঘরে ২০০-২৫০ লোক প্রসাদ খেত । সে এক অন্য সময়। রকিব ভাই, খায়রুল সপরিবারে আসতো সংকীর্ণতা ছিল না।
হটাৎ বেল বেজে ওঠে, ঘুরে তাকায় রিনচেন কে এলো। কারতো আসার কথা নেই ।
দরজা খুলে দেখে পুলিশ ।
“ওই নিড টক্ স্যার”, অফিসার বললেন ।
“আসুন ভিতরে”, দরজা থেকে সরে দাঁড়ায় রিনচেন ।
“বসুন”, চেয়ার দেখিয়ে দেয় লামা ।
একটা খাম এগিয়ে দেয় অফিসার ।
খাম খুলে দেখে ডিজি হিমাচল প্রদেশ রিকোয়েস্ট করেছেন দেখা করার জন্য সিমলাতে।
“ওকে আই উইল মিট অন মাই ওয়ে ব্যাক,কনভে ময় রিগার্ডস “। হেসে বললেন রিনচেন ।
অফিসার চলে যায়, রিসিভ কপি নিয়ে ।
ফোন বন্ধ করে এবার এক ঘন্টা মেডিটেশন করবে কারো ডিস্টার্বেন্স চলবে না এ সময় ।

(ক্রমশ)
*** কাল্পনিক গল্প বাস্তবের চরিত্র ***