রানি রাসমণিতে দলিত মুসলিমদের যৌথ উদ্যোগে মহামিছিল ও জনসভায় তরুণ তুর্কী নেতা ফারুক আহমেদ তাঁর বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার আহ্বান জানান
বিশেষ প্রতিবেদক
দেশের মানুষের কল্যাণে ধর্মতলায় রানি রাসমণিতে দলিত মুসলিমদের যৌথ উদ্যোগে মহামিছিল ও জনসভা সফল করতে তরুণ তুর্কী নেতা ফারুক আহমেদ বড় দায়িত্ব পালন করেন। ফারুক আহমেদ তাঁর বক্তব্যে পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার আহ্বান জানান সংবিধান বাঁচাও সমিতির মঞ্চ থেকে।
কলকাতার রানি রাসমণিতে ৬ ডিসেম্বর দলিত মুসলিমদের যৌথ উদ্যোগে মহামিছিল ও জনসভা সফল করতে রাজ্যবাসীকে সজাগ হওয়ার এবং মিছিলে আসার জন্য আহ্বান করেছিলেন সংবিধান বাঁচাও সমিতির পক্ষে দলিত-সংখ্যালঘু দরদি নেতা-উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ।
৬ ডিসেম্বর সংহতি দিবসে কলকাতার রাজপথে দলিত মুসলিমদের যৌথ উদ্যোগে মহামিছিল ও জনসভার নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলার দলিত ও সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে লড়াকু নেতা ফারুক আহমেদ।
মেঘা সমাবেশ সফল করতে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বহু আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাজার হাজার সমর্থনকারী সদস্যরা।
এদিন বক্তব্য রাখেন আয়োজকদের অন্যতম সংগঠোক উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ, আদিবাসী ও দলিত নেতা কঙ্কন কুমার গুঁড়ি, বীরেন মাহাতো, জিতেন্দ্রনাথ বাল্মিকী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
কয়েক হাজার মানুষের ঢল নামে এদিন ৬ ডিসেম্বর মিছল ও জনসভা সফল করতে।
“দলিত মুসলিমদেরই যৌথ উদ্যোগেই ঐতিহ্যময় ভারত গড়তে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি। আদি ভারতবাসীদের নিজেদের মধ্যে লড়িয়ে দিয়ে কারা ক্ষমতায় আছেন এতো বছর? ভাবুন একবার আর জেগে উঠুন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করবেন না। ভাবুন একবার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বাবরী মসজিদ ভেগেছে বিভেদকামী শক্তি কি কারণে? স্রেফ বিভাজনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ফায়দা তুলবে বলে। বহুজন সমাজের মানুষ ও মুসলিমদের সজাগ থাকতে হবে ধর্মীয় আবেগের জন্য কোনো ভুল পথে পরিচালিত হলে বিভেদকামী শক্তির উত্থান রোখা যাবে না। কোথায় কখনও উস্কানিমূলক বক্তব্য শুনে প্রভাবিত হলে চলবে না বরং বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়ে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দেশ ভারতকে বিপদে চালিত করাদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। মনে রাখতে হবে দলিত ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের ওপর যে চরম বৈষম্য ও বঞ্চিত করার চক্রান্ত চলছে তার প্রতিকার করতে হলে জোটবদ্ধ হাতে হবে।
৭২ বছর পেরিয়ে গেছে দেশ স্বাধীন হয়েছে তবুও আদি ভারতবাসীর প্রকৃত কল্যাণে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তেমন ভালো কাজ করতে পারেননি। নিজেদের মধ্যে আর মারামারি নয় কোনো বিবাদ থাকলে তা এড়িয়ে চলুন। একটু বিচার ও বিশ্লেষণ করুন কে বা কারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই বিবাদ ও বিভাজনের রাজনীতির উত্থান ঘটিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো ফায়দা লুটতে চাইছে কোন কৌশল অবলম্বন করে তা বুঝতে হবে। প্রতি নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাতে কাদের নাম উঠে এসেছে? দেখা যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মুসলিম ও বহুজন সমাজের দলিত মানুষদের নাম। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা চলছে কে কতটা বেশি দলিত ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের ব্যবহার করতে পারবে এবং নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে সক্ষম হবে।
ভারতীয় ঐতিহ্যময় ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে জোটবদ্ধ হয়ে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে এবং হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যের বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে।
সকলেই অবগত আছেন বিভেদকামী শক্তি ভারতকে বিপদে চালিত করছে তাই এখন আর কোনো বিভাজনের রাজনীতির উত্থানের পেছনে থাকলে চলবে না। বাংলার মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের মানুষের কল্যাণে বড় কাজ করছেন বাংলা ও দেশকে বাঁচাতে তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী করার আহ্বান জানাচ্ছি এই সংবিধান বাঁচাও সমিতির মঞ্চ থেকে।” বলছিলেন ফারুক আহমেদ।
মানব কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ সর্বভারতীয় নবচেতনার সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমেদ এদিন মূল্যবান বক্তব্য রাখার পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি “মোদী সরকারের পতন সুনিশ্চিত করতে হলে দলিত ও মুসলিমদের জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে এবং ভোটবক্সে তাঁর যোগ্য জবাব দিতে হবে। ২০১৯ লোকসভা ভোটে মোদী সরকারকে সরিয়ে প্রকৃত দেশ কল্যাণকারীদের হাতে দেশ চালানোর ভার তুলে দিতে সচেতন হতে হবে।”