#চোঁয়া_ঢেকুর
পাগলা দাশু আর ক্ষেপা জগাই, মাঝে পরে সব হারাই
করোনার লক ডাউন মাঝে মাঝেই হুমকি দিচ্ছে,’এই শেষ হলাম! এই শেষ করলাম’!
এতদিন আমরা লুকিয়ে চুরিয়ে নিয়ম ভাঙছিলাম।এখন হৈ হৈ করে, নাচতে নাচতে,গাইতে গাইতে রাস্তায় নেমে পড়েছি।সরকার চিল্লাচ্ছে,মুখোশ পর।ফেস বুক জ্ঞানা মারছে,সাবান দিয়ে হাত ধোও!মিডিয়া বলছে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেন্টেন করো।হু বলছে, প্যান্ডামিক।ইউনিসেফ বলছে, কমিউনিটি আউটব্রেক
শুরু হয়েছে। আর আমরা বুদ্ধিমানের পো রা কিন্তু নিল ডাউন দিচ্ছি না, বদলে সেই ছোটবেলার ঝুলনের স্প্রিং দেওয়া দেড়েল দাদুর মতো দু দিকে মৃদুমন্দ মাথা নেড়ে যাচ্ছি আর বলছি, ঠিক! ঠিক! ঠিক! তারপর থুতনিতে বা পকেটে মাস্ক ঝুলিয়ে প্ৰয়োজনে অপ্রয়োজনে হিন্দি সিনেমার নায়কের মতো মুখে হাত দিচ্ছি।চুলে বিলি কাটছি।আদিখ্যেতা করে হাগ করছি বন্ধুকে।বান্ধবী হলে তো আর কথাই নেই।পাঁচ পা দিয়ে সরসরিয়ে চলে আমাদের সাপ সত্তা হিস হিস করে বিষ ঢেলে দিচ্ছে আমাদেরই ফুসফুসে আর বলছে,পাগলা খির খা!
সবাই সব কিছু লুকোচ্ছে।রাজা বলছে,না! না! প্রজা বলছে না! না!পুলিশ পিং পং খেলছে। কেবল ডাক্তার ও বিধাতা বলছে,হ্যাঁ! হ্যাঁ!
এদের মাঝে কবাডি খেলতে খেলতে করোনা চলছে তার নিজস্ব ঢঙে,স্টাইলে,মস্তিতে। বাসে ট্রেনে বাদুড় ঝোলা।চায়ের দোকানে তুফান।রকের আড্ডায় পুনম পান্ডে,শ্রদ্ধা কাপুর,রাজ্য রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি। হাফ প্যান্ট পরা যুবক যুবতীর বাইকে বা একে অপরের লাস্যে হ্যালান দিয়ে লজিজের রোল খাওয়া।মদের দোকানের সামনে মনযোগী লাইন। বাঙালি আছে আধুনিক বাঙালিয়ানা নিয়ে। দেখে শুনে মনে হচ্ছে ,সব কিছু করে নেবে নয় বুকে তুলে নেবে উপরওয়ালা,ঈশ্বর,আল্লা,খ্রিস্ট।আমরা খঞ্জনি বাজাবো।সরকার খোল বাজাবে।আমরা তিড়িংবিড়িং সংকীর্তন গাইবো,অথবা হাতে পোস্টার নিয়ে মানব বন্ধন,মোমবাতি মিছিল করবো।বলবো,
‘আমি যদি না বাঁচি, আমাকে বাঁচায় কোন শালা’?
ওয়াও বাঙালি। ওয়াও! ওয়াও!!
●●●●●●●●●●●●●
পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়,Kolkata,১১.০৬.২০২০