বাংলাদেশ ১৯৮০ সালের বিসিএস (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কম্পোজিশন অ্যান্ড ক্যাডার রুল পরিবর্তন – প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৭ হাজার ৭৬টি পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে
৫ ডিসেম্বর, ২০২১
ঢাকা, বাংলাদেশ:
আইবিজি নিউজ ইন্ডিয়া বিশেষ সংবাদদাতা আনোয়ারুল হক ভুঁইয়া
- বিসিএস পেশায় পেশাগত বৈষম্য দূর করার আন্তরিক প্রয়াস শেখ হাসিনা প্রশাসনের
- প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৭ হাজার ৭৬টি পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে
- নতুন উপসচিব পদ আনা হবে প্রশাসনের গতির জন্য,নতুন ৭৬৭ উপসচিব পদ তপশীলভুক্ত হবে
- প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হবে ইকোনমিক ক্যাডারের পদগুলিও,সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তরের পরিচালক অতিরিক্ত কমিশনার, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালকদের পদ অন্তর্ভুক্ত হবে এই লিস্টে
- এছাড়া সাত সিটি করপোরেশন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসা, রাজউকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পদ নতুন তফসিলে জায়গা পেয়েছেন
- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নতুন তফসিলে থাকবেন
- জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের বর্তমান পদের সঙ্গে জেলা পরিষদের ৬৪টি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে
- তফসিলে ভূমি আপিল বোর্ড ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যানদের প্রশাসন ক্যাডারের সর্বোচ্চ লাইন পদ হিসেবে গণ্য হবে
- পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআরটিএ এবং তিতাস গ্যাসের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পদও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব সংবাদ মাধ্যম কে বলেন, ‘সব ক্যাডারের বিষয়েই সমান আন্তরিক হতে হবে। প্রয়োজন আছে বলেই এত ক্যাডার সৃষ্টি করা হয়েছে। কাজেই কোনো একটি বিশেষ ক্যাডার দুর্বল হলে ওই সেক্টরটিই দুর্বল হয়ে পড়বে, যা কারও কাম্য নয়। ‘|
এই কথার সূত্র ধরেই বলা চলে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া শেখ হাসিনা সরকার প্রশাসনিক ফের বাদলের নীতিগত প্রয়োগে আন্তরিক হচ্ছেন ।
সংশোধন করা হচ্ছে বাংলাদেশের ১৯৮০ সালের বিসিএস (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কম্পোজিশন অ্যান্ড ক্যাডার রুল। উপসচিবের ৭৬৭টি পদ অন্তর্ভুক্ত করে নতুন বিধি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) গঠন ও ক্যাডার আদেশ, ২০২১ এর খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ক্যারিয়ার প্লানিং (সিপি) উইং। উপসচিব পদটি সরকারের একটি বিশেষ পদ যা এবার প্রশাসন ক্যাডারের তফসিলভুক্ত করা হচ্ছে এই পরিবর্তনের ফলে ।
আমূল পরিবর্তনের ফলে উপসচিব ছাড়াও প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হওয়ায় ইকোনমিক ক্যাডারের প্রধান যুগ্মপ্রধান, উপপ্রধান, সিনিয়র সহকারী প্রধানসহ আরও অনেক পদ প্রশাসন ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। যা ঐতিহাসিক সংস্কারের দাবি রাখে।
বর্তমান বাংলাদেশ প্রশাসন ক্যাডার রুলে ৩ হাজার ৯৭টি পদ রয়েছে। প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৭ হাজার ৭৬টি পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে এই নতুন আইনে। ৪০ বছর পর সেই ১৯৮০ সালের পর, ক্যাডার আদেশ সংশোধন করে প্রশাসন ক্যাডারের ১২৮ শতাংশ পদ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন খসড়ায়। স্বাভাবিক ভাবেই এই সংশোধন অনেকাংশে প্রশাসনের এক অংশের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করবে ।
খসড়া তফসিলের সাত নম্বর ধারায় উপসচিব বিসিএস (প্রশাসন ক্যাডার) এর পদ দেখানো হচ্ছে ৭৬৭টি। বর্তমানে প্রচলিত ১৯৮০ সালের তফসিলে উপসচিব নামে প্রশাসন ক্যাডারের কোনো পদ নেই। উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব ও সিনিয়র সচিব পদগুলো কোনো ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদ নয়। এগুলো সরকারের বিশেষ পদ। এসব পদে সরকার সমমানের যেকোনো ক্যাডার কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিতে পারে এবং তা দিয়ে এসেছে ।
সাত নম্বর ধারায় ইকোনমিক ক্যাডারের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া ইকোনমিক ক্যাডারের উপপ্রধানের ১০৯টি পদও রয়েছে।
উপসচিব পদটি সরকারের একটি বিশেষ পদ হলেও এবার প্রশাসন ক্যাডারের তফসিলভুক্ত করা হচ্ছে। এজন্য সংশোধন করা হচ্ছে ১৯৮০ সালের বিসিএস (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কম্পোজিশন অ্যান্ড ক্যাডার রুল। উপসচিবের ৭৬৭টি পদ অন্তর্ভুক্ত করে নতুন বিধি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) গঠন ও ক্যাডার আদেশ, ২০২১ এর খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ক্যারিয়ার প্লানিং (সিপি) উইং।
উপসচিব ছাড়াও প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হওয়ায় ইকোনমিক ক্যাডারের প্রধান, যুগ্মপ্রধান, উপপ্রধান, সিনিয়র সহকারী প্রধানসহ আরও অনেক পদ প্রশাসন ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
সাত নম্বর ধারায় ইকোনমিক ক্যাডারের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া ইকোনমিক ক্যাডারের উপপ্রধানের ১০৯টি পদও রয়েছে।
বর্তমান তফসিলে ভূমি আপিল বোর্ড ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যানদের প্রশাসন ক্যাডারের সর্বোচ্চ লাইন পদ হিসেবে দেখানো আছে। প্রস্তাবিত আদেশে এসব পদের সঙ্গে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) ও বিসিএস প্রশাসন অ্যাকাডেমির রেক্টর, কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড এবং মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদটিকেও একই গ্রেডে দেখানো হয়েছে।
পুরনো বিভাগীয় কমিশনার, ভূমি আপিল ও সংস্কার বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় সরকারের মহাপরিচালক ও বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক পদগুলোও নতুন তফসিলে রয়েছে। প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে ইকোনমিক ক্যাডার একত্রিত হওয়ার কারণে বিলুপ্ত এ ক্যাডারের ৯টি প্রধানের পদও একই গ্রেডে রাখা হয়েছে।
সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তরের পরিচালক, অতিরিক্ত কমিশনার, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালকদের পাশাপাশি খসড়া তফসিলে ইকোনমিক ক্যাডারের ৫৪টি যুগ্ম প্রধানের পদও স্থান পেয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের বর্তমান পদের সঙ্গে জেলা পরিষদের ৬৪টি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদও রয়েছে।
৪৯৬টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ১ হাজার ৪৭৩ সিনিয়র সহকারী সচিবের সঙ্গে ইকোনমিক ক্যাডারের সিনিয়র সহকারী প্রধানও তফসিলভুক্ত হয়েছে।
এছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নতুন তফসিলে রয়েছেন। এছাড়া সাত সিটি করপোরেশন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসা, রাজউকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পদ নতুন তফসিলে জায়গা পেয়েছে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআরটিএ এবং তিতাস গ্যাসের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পদও রয়েছে। সহকারী কমিশনারের ১ হাজার ১৫টি, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) ৫০৫, সহকারী সচিবের ২৫৭ পদের সঙ্গে সহকারী কমিশনারের (অর্থ) ৪৮৫টি পদ সৃজন হচ্ছে। সঙ্গে ইকোনমিক ক্যাডারের সহকারী প্রধানের ১৩৪টি পদ রয়েছে।
প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) গঠন ও ক্যাডার আদেশে বলা হয়েছে, প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করার পর সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, গ্রেড-১, সচিব এবং সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি বা অন্য কোনো উপায়ে নিয়োগপ্রাপ্তরা চাকরি ব্যবস্থাপনার জন্য এই সার্ভিসের সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। বর্তমান বিসিএস (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কম্পোজিশন অ্যান্ড ক্যাডার রুলসে সরকারের বিশেষ পদ উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদ সম্পর্কে কোনো কিছু বলা নেই। ২০১০ সালের পর গ্রেড-১ ও সিনিয়র সচিবের পদ সৃজন করায় এসব পদ সম্পর্কেও কোনো তথ্য থাকার সুযোগ নেই।
প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) গঠন ও ক্যাডার আদেশে বলা হয়েছে, প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করার পর সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, গ্রেড-১, সচিব এবং সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি বা অন্য কোনো উপায়ে নিয়োগপ্রাপ্তরা চাকরি ব্যবস্থাপনার জন্য এই সার্ভিসের সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। বর্তমান বিসিএস (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কম্পোজিশন অ্যান্ড ক্যাডার রুলসে সরকারের বিশেষ পদ উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদ সম্পর্কে কোনো কিছু বলা নেই। ২০১০ সালের পর গ্রেড-১ ও সিনিয়র সচিবের পদ সৃজন করায় এসব পদ সম্পর্কেও কোনো তথ্য থাকার সুযোগ নেই।
নিয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কে নতুন সংযোজিত এক উপবিধিতে বলা হয়েছে তফসিলভুক্ত পদ থেকে সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তী পদোন্নতি সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা ২০০২ এর অধীনে নির্ধারণ হবে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব ও সিনিয়র সচিব হিসেবে তফসিলভুক্ত পদে পদায়িত হবেন।
বর্তমান বিধিমালায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান, ইস্ট পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস এবং মিলিটারি ল্যান্ডস অ্যান্ড ক্যান্টনমেন্ট সার্ভিসের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। একইসঙ্গে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) প্রথম ব্যাচ ও দ্বিতীয় ব্যাচের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক দিন হলো এসব সংস্কার নিয়ে কোনো কাজ হয় না। যেসব কাজ না করলেই নয় এতদিন সেসব কাজই করা হয়েছে। সচিবালয় ক্যাডার এবং ইকোনমিক ক্যাডার প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে মার্জ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসন ক্যাডারের পদ বাড়বে। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) গঠন ও ক্যাডার আদেশ সংশোধনের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংস্কারের কাজটি প্রাত্যহিক কাজ হিসেবেই নিচ্ছেন। প্রতিনিয়ত কাজ করতে গিয়ে যেসব সমস্যা আসছে সেগুলো সংস্কার করা হবে। এসব সংস্কারের জন্য তারা বিশাল পরিসরের কোনো কমিশনের সুপারিশের অপেক্ষা করবেন না। বিধিতে আছে কিন্তু চর্চা নেইএ ধরনের কাজগুলো মন্ত্রণালয় গুরুত্ব দিয়ে করতে চাচ্ছে।
উপসচিবের পদ প্রশাসন ক্যাডারের তফসিলভুক্ত করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশাসন বিশেষজ্ঞ দের মতে, ‘উপসচিব পদটি কোনো ক্যাডারের পদ না। এগুলো সরকারের বিশেষ পদ। সরকার যেকোনো ক্যাডার কর্মকর্তাকে এ পদে নিয়োগ দিতে পারে। তবে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে ১৯৯১ সালে মার্জ হয়ে যাওয়া সচিবালয় ক্যাডারের উপসচিবের কিছু পদ রয়েছে। সেগুলো প্রশাসন ক্যাডার রুলে আনতে হলে তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা থাকতে হবে। তা না হলে এটা নিয়ে অন্যান্য ক্যাডারে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে। যতদূর মনে পড়ে সচিবালয় ক্যাডারের উপসচিব পদ ছিল দুই শতেরও কম। ওখানে ৭৬৭টি পদ হওয়ার কথা নয়। ‘
প্রশাসন ক্যাডারে পদের চেয়ে বেশি কর্মকর্তা কাজ করছেন। পদ না থাকার পরও কর্মকর্তাদের পদোন্নতি হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য ক্যাডারে পুরোপুরি উল্টো চিত্র। শিক্ষা ক্যাডারে পদ খালি থাকার পরও পদোন্নতি হচ্ছে না। খাদ্যসহ অন্যান্য ক্যাডারে শূন্য পদ না থাকার কথা বলে যোগ্যদের পদোন্নতি হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তারা বলছেন, বিভিন্ন ক্যাডারের প্রতি ভিন্ন ভিন্ন নীতির কারণে দক্ষ পেশাজীবী গড়ে তোলার উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না সরকারের।
প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য কয়েকটি ক্যাডারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রশাসনে ক্যাডার বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছে। ক্যাডার সৃষ্টির সময় যেসব বৈষম্য ছিল তা আমরা মেনে নিয়েই চাকরিতে যোগ দিয়েছি। কিন্তু এখন যেসব বৈষম্য হচ্ছে তা দুঃখজনক। সব ক্যাডার অফিসার একই মানদ-ে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কিছু কিছু ক্যাডার বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। গাড়ি সুবিধা নগদায়ন নীতিমালার কারণে প্রশাসন ক্যাডার ৩০ লাখ টাকা বিনাসুদে ঋণ এবং সেই গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে ৫০ হাজার করে টাকা পাচ্ছেন। অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তারা তাদেরও এ সুবিধা দেওয়ার দাবি করেছেন।
তারা আরও বলেছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মতো আরও কোনো অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ প্রশাসন ক্যাডার থেকে নিয়োগ দেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের নিজস্ব কর্মকর্তারা হতাশ হতে পারেন। কারণ এসব পদে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হলে ওইসব দপ্তরের নিজস্ব কর্মকর্তাদের পদোন্নতি পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।
তবু অনেক ক্ষোভ প্রশাসনের তান্তরে থাকলেও, এক বৃহৎ অংশের আশাকে যে ভাবে সম্মান জানানোর প্রক্রিয়া ও সদিচ্ছা সর্বোচ্চ স্তরে দেখা যাচ্ছে তা বিশেষ সাধুবাদের দাবি রাখে এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই । আগামীদিনে আরো সংস্কারের মাধ্যমে তৃণমূলস্তরে এর সুফল পৌঁছে দেয়া যাবে বলে ওয়াকিবহল মহলে বিশ্বাস ।