ডিপিআইআইটি-র ইনভেস্ট ইন্ডিয়ার উদ্যোগে এক জেলা এক পণ্য ব্যবস্থায় রপ্তানী কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রসঙ্গে কলকাতায় সচেতনতা কর্মসূচী
By PIB Kolkata
কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের শিল্পোৎসাহ ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দপ্তরের ইনভেস্ট ইন্ডিয়া উদ্যোগের আওতায় কলকাতায় এক জেলা এক পণ্য কর্মসূচীতে জেলাগুলিকে রপ্তানী কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে একটি সচেতনতামূলক অভিযানের সূচনা করা হয়। এই অভিযানের অন্যতম অংশীদার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ দপ্তর এবং বস্ত্র মন্ত্রক।
কলকাতার প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর সহযোগিতায় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক জেলা এক পণ্য কর্মসূচীতে জেলাগুলিকে রপ্তানী কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সঙ্গে যারা যুক্ত থাকবেন, এ ধরণের হস্তশিল্পী, তন্তুবায়, বিভিন্ন ধরণের পণ্য সামগ্রীর উৎপাদক এবং সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তাঁরা তাঁদের পণ্যের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের সাহায্য পাওয়া যাবে তা নিয়ে আলোচনা করেন।
এই কর্মসূচির বাস্তবায়নে সহায়ক সংস্থা সম্পর্ক-এর পক্ষে প্রেরণা প্রেয়াসি জানান পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার হস্তশিল্পীদের তাঁরা নানাভাবে সাহায্য করে থাকেন, ভারতের জন্য একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড গড়ে তোলায় যার মূল উদ্দেশ্য। সংস্থার সক্রিয় সদস্য শ্রী হার্দিক সিং জানান, এই কর্মসূচীর আওতায় সংশ্লিষ্ট সকলকে দক্ষতা বিকাশ, দেশের বিভিন্ন বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া, আন্তর্জাতিক স্তরে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং রাজ্যের পণ্য সামগ্রীর বিষয়ে সচেতন করে তুলতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের বৈচিত্রপূর্ণ হস্তশিল্পের উল্লেখ করে তিনি জানান ডাভোস-এ বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে চট, ডোকরা এবং জামদানির কাজ প্রদর্শিত হয়েছে। দলের সদস্যরা ডাক বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে রপ্তানী সংক্রান্ত একটি কর্মশালার আয়োজন করেন। ডাকঘর নিরয়াত কেন্দ্র পোর্টালের সাহায্যে কী ধরনের সুবিধা শিল্পী ও কারিগররা পাবেন তা নিয়ে কর্মশালার আলোচনা করা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্য অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোৎদ্যোগী সংস্থাগুলির বিকাশ ঘটানো এবং দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর মানোন্নয়নে সহায়তা করা। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই কর্মসূচী পালনের মধ্যে দিয়ে স্থানীয় স্তরে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর পরিচিতি ঘটানো হচ্ছে।
বিশ্ব বাংলার শ্রীমতী সায়নী কুণ্ডু জানান, পণ্যের মানোন্নয়ন এবং নতুন ধরনের পণ্য উৎপাদনের জন্য অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ দপ্তর ও বস্ত্র মন্ত্রক হস্তশিল্পী এবং তন্তুবায়দের নানাভাবে সহায়তা করে থাকে। তাদের দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব। অনুষ্ঠানে নদীয়া, পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং এবং সুন্দরবন অঞ্চলের হস্তশিল্পী ও কারিগররা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী প্রদর্শন করেন। তাঁরা তাঁদের সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরার পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।