ভূমিকম্পের ঘটনা
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
২০২৩ সালে ভূমিকম্পের ঘটনা ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। মূলত পশ্চিম নেপালে আলমোড়া ফন্ট-এর সক্রিয়তার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি ৫.৮ মাত্রার, তেসরা অক্টোবর ৬.২ মাত্রায় এবং তেসরা নভেম্বর ৬.৪ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর পর পরই বেশ কয়েকবার আফটার শক বা উত্তর কম্পন অনুভূত হয়।
উত্তর ভারত এবং নেপালে মাঝে মধ্যেই মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। কারণ নেপাল ও ভারতের উত্তরাংশ হিমালয় অঞ্চলের এই সক্রিয় ফন্টের কাছেই অবস্থিত এবং মাটির নিচের স্তর ক্রমশই পরিবর্তনশীল।
গত তিন বছরে নতুন দিল্লির ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এই অঞ্চলে যে ভূমিকম্পের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে তাতে দেখা গেছে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ভূমিকম্পের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩ থেকে ৩.৯ মাত্রায় ৯৭টি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। ৪ থেকে ৪.৯ মাত্রায় ২১টি, ৫ থেকে ৫.৯ মাত্রায় ৪টি এবং ৬ থেকে ৬.৯ মাত্রায় ২টি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে।
ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) ভারতের ভূমিকম্প প্রবন অঞ্চলের মানচিত্র প্রকাশ করেছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিনিয়ারিং নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্প মোকাবিলায় মহড়া, সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
লোকসভায় আজ লিখিত উত্তরে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।