জুট কমিশনার ব্যবসায়ী, মিল ও মজুতকারীদের ওপর পাট মজুত সীমা জারি করলেন
By PIB Kolkata
কলকাতা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
গত কয়েক মাসে পাটের দামে তীব্র উত্থানে শিল্পে উদ্বেগ বাড়ছে। কৃষি খরচ ও মূল্য কমিশন (সি এ সি পি) ২০২৫-২৬ সালের জন্য ‘রেফারেন্স গ্রেড জুটের’ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এম এস পি) প্রতি কুইন্টালে ৫৬৫০ টাকা ঠিক করেছে । সরকার এই দাম স্বীকার করে নিয়েছে। এই এমএসপি-তে খরচ ও পারিবারিক শ্রমের উপরে গড়ে ৬৬.৮ শতাংশ লাভ ধরা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি বা ই সি জে বলছে, দেশে প্রায় ৭৫ লক্ষ বেল (প্রতিটি ১৮০ কেজি) কাঁচা পাট প্রস্তুত হবে। বাজারে দাম এখন এমএসপি’র থেকে অনেক বেশি। অথচ এই দামই কৃষকের ন্যায্য আয় নিশ্চিত করার জন্য নির্ধারিত করা হয়ছে।

ন্যায্য বণ্টন সম্ভব করতে এবং মজুতদারি ও জল্পনা ঠেকাতে জুট কমিশনার কাঁচা পাটের মজুত সীমা বেঁধে দিলেন। ব্যবসায়ী, মজুতকারী ও প্রস্তুতকারকদের জন্য এই নিয়ম। জুট ও জুট টেক্সটাইল কন্ট্রোল অর্ডার, ২০১৬ অনুযায়ী, এই সীমা জারি হয়েছে। কাঁচ পাট বেলারদের (যাদের কাছে বেলিং প্রেস আছে) সর্বোচ্চ সীমা ২০০০ কুইন্টাল। অন্যান্য মজুতকারক (বেলার বাদে) সর্বোচ্চ ৩০০ কুইন্টাল রাখতে পারবেন। আর জুট মিল বা প্রসেসিং ইউনিট প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা বর্তমান উৎপাদন হারে সর্বাধিক দুই মাসের খরচের সমান মজুত রাখতে পারবে।
সব মজুতকারীকে প্রতি শুক্রবার Jute SMART পোর্টালে (http://jutecomm.gov.in/JuteSmart.html)) জুট মজুতের তথ্য জানাতে হবে। সীমার চেয়ে বেশি থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে উদ্বৃত্ত কমাতে হবে। উদ্বৃত্ত ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করতে হবে। প্রমাণসহ রিপোর্ট দ্রুত জুট কমিশনারের দফতরে জমা দিতে হবে।
কর্মকর্তারা মজুত ও নথি পরীক্ষা করবেন। নিয়ম ভাঙলে উদ্বৃত্ত বাজেয়াপ্ত হবে। কোনও সংস্থা ঘোষণা না করলে বা সীমা ভাঙলে ১৯৫৫-এর জরুরি দ্রব্য আইনের ৬, ৭ ও ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দামের ওঠানামা ও জল্পনা পাট শিল্পকে বিপদে ফেলতে পারে। উৎপাদন ও কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই এই পদক্ষেপ। সরবরাহ স্থিতিশীল হবে, কালোবাজারি বন্ধ হবে এবং কৃষক, প্রস্তুতকারক ও ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা হবে।