Read Time:5 Minute, 24 Second
পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানিয়ে বিশেষ সাংস্কৃতিক উত্সবে মেতে উঠল বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন
ফারুক আহমেদ ও সুমন মুন্সী
“দাড়াও পথিকবর তিষ্ঠ ক্ষণকাল” মাইকেল জীবিত থাকলে নিশ্চয় তাঁর এই লাইনটি বলে উঠতেন বাংলাদেশের মঙ্গল যাত্রা এবং পহেলা বৈশাখ উতযাপন দেখে | যে অনুষ্ঠান মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয় তা বাংলাদেশের অকৃত্রিম সংস্কৃতির পরিচয়| তাই বাংলাদেশের মানুষকে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া শেখ হাসিনা ও তাঁর উপযুক্ত প্রসাশন এর সকল সদস্য কে কলকাতার সালাম| এক অনবদ্য সম্প্রীতির উত্সব শুভ নববর্ষ|
বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ কে স্বাগত জানিয়ে অন্যান্য বছরের মত এবারও পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ (১৪ এপ্রিল ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ) শনিবার, বিকেল ৪ টের সময় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন, কলকাতা কতৃক “মঙ্গল শোভাযাত্রা”র আয়োজন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্র, ৩ সোহারওয়ার্দী এভিনিউ, কলকাতা ৭০০০১৭ হতে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন পর্যন্ত এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। কবিতাপাঠ, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য, সঙ্গীত পরিবেশন ও সমবেত নৃত্য দিয়ে অনুষ্ঠান জমে ওঠে।
বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসান প্রথমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তিনি। এই অনুষ্ঠানটি সফল করতে বহু সপরিবার ও সবান্ধব অতিথির আগমন ঘটে। বিভিন্ন আবৃত্তি শিল্পীরা অপূর্ব আবৃত্তি পরিবেশন করেন যা সকলকেই মুগ্ধ করে। কচিকাঁচাদের নৃত্য পরিবেশনও সকল দর্শকমহলকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয়। এই অভিনব সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আনন্দঘন পরিবেশ ছিল বড় মায়াবী। বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের আন্তরিক ব্যবহার সকল অতিথিদেরকেও মুগ্ধ করল। এদিন বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আগত সকল অতিথিদেরকে ডিনার করান।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন, কলকাতা আগামী ১৭ এপ্রিল ২০১৮, মঙ্গলবার বিকেল ৫ টাতে শ্রী অরবিন্দ ভবনে ৮, শেক্সপিয়ার সরণি, কলকাতা ৭০০০১৭ এক আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। উক্ত অনুষ্ঠানেও বাংলাদেশের সম্মানিত অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন। ওই অনুষ্ঠানেও এপার বাংলার কিছু মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
বাংলাদেশ শুধু একটি দেশ নয়, মাতৃভাষা এবং তার সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসা ও উৎসর্গীকরণের জন্য বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ। যেখানেই বাংলাদেশি নাগরিক থাকবে সেখানে তারা তাদের সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরবে। বিশ্বের সামনে তাদের সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরার প্রয়াস বহু দিন ধরে মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে।
কলকাতা চিরকাল বাংলাদেশের পাশে মৈত্রীর বার্তা নিয়ে সাংস্কৃতিক আদান প্রদানে এগিয়ে এসেছে। সকলেই জানে কলকাতা ঐতিহাসিকভাবে বাংলা সংস্কৃতির সাথে সংযুক্ত সকল মানুষের জন্য একটি বিশাল ক্যানভাস।
অন্যদিকে এই সাংস্কৃতিক মহামিলনকে নিয়ে প্রবল উৎসাহী ছিলেন “উদার আকাশ” পত্রিকার সম্পাদক ও কবি ফারুক আহমেদ। তিনি জানান, এই ধরনের উৎসব দুই বাংলার মানুষকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে এবং দুই বাংলার মানুষের মনে সম্প্রীতির বার্তা এক অটুট বন্ধনে আবদ্ধ করবে।
বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানাতে এই বিশেষ উৎসবের আয়োজনও সার্বিক ভাবে সফল হল এবং আগত মানুষদের মনে দাগ কাটল।
Advertisements