চীনের সায়তে রাষ্ট্রপুঞ্জের জঙ্গি ঘোষণা মাসুদ আজাহারকে – মোদীর বিদেশ নীতিতে ব্যাকফুটে পাকিস্তান
মেরি পাল,কলকাতা
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার পর ব্রিটেন ,ফ্রান্স ও আমেরিকার সঙ্গে একত্রিত হয়ে ভারত বার বারই রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে আবেদন করতে থাকে মাসুদ আজাহারকে আন্তজাতিক জঙ্গি তালিকাভুক্ত করার জন্য,কিন্তু দীঘদিন ধরে চীন ভেটো দিয়ে এই প্রস্তাবকে খারিজ করে দিয়েছিল | চীন কখনো যুক্তি দিয়েছে মাসুদের বিরুদ্বে উপযুক্ত তথ্য প্রমান নেই, আবার কখনো বলেছে সব দেশের ঐকমত ছাড়া মত দেওয়া সম্ভব নয় |
প্রতিবারই নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেছে চীন | পুলওয়ামার আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় 40 জন সি আর পি এফ জওয়ানের মৃত্যুর পর থেকেই কূটনৈতিক স্তরে ঠান্ডাযুদ্ধ শুরু করেছিল ভারত | যার ফলে কিছুটা কোনঠাসা হয়ে এবং সেই সঙ্গে ওবর মহা যোগাযোগ প্রকল্পের আওতায় ভারতকে আনার জন্যেও ইতিবাচক মনোভাব দেখতে বাধ্য হয়েছে চীন, তাছাড়া চীন বুঝতে পারে পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত রাখার ফলে আন্তজাতিক ক্ষেত্রে বয়কটের মুখে পড়তে হতে পারে তাই বিশ্ববাসীর থেকে একঘরে হওয়া থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের সঙ্গ ছাড়তে বাধ্য হয় চীন | অবশেষে মাসুদ আজহারকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য সম্মতি দেয় চীন যারফলে পাকিস্তান আরো কোনঠাসা হয়ে পারে |
আন্তজাতিক চাপের মুখে পাকিস্তান জইশ -ই -মহম্মদ এবং মাসুদ আজাহারের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানতে বাধ্য হয় | রাষ্ট্রপুঞ্জের মাসুদ আজহারকে আন্তজাতিক জঙ্গি ঘোষণার পর পাকিস্তানের মাসুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় রইল না . আন্তজাতিক নিয়ম মেনে মাসুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে পাকিস্তানকে মাসুদ আজাহার ও তার সংগঠনের সমস্ত সম্পত্তি ও অর্থ বাজেয়াপ্ত করতে হবে , সমস্ত সদস্য দেশে ওই সংগঠন ও ব্যক্তির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে , অর্থাৎ সারা পৃথিবীতে মাসুদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে | সেই সঙ্গে কোন সদস্য দেশ মাসুদকে সোজা পথে কোন রকম অস্ত্র , গোলা বারুদ বা কোন রকম সামরিক সরঞ্জাম সরবারহ করতে পারবে না | এর অর্থ হল রাষ্ট্রপুঞ্জের দেশ হিসাবে পাকিস্তান জইশ -ই -মহম্মদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে ও মাসুদ আজাহারকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হবে |
জইশ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হলেও মাসুদ বরাবরই আই ,এস ,আই ও পাক সেনাদের মদত পেয়ে এসেছে , কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই কাজ সরাসরি সম্ভব হবে না , ফলে মাসুদের সংগঠনের কাজকর্ম কিছুটা দুর্বল হবে বলে মনে করা হচ্ছে |
মোদীর বিদেশ ভ্রমণ অনেকের চক্ষুশূল হলেও “দের আয়ে পার দুরুস্ত আয়ে” যেন সোনারের ঠুক ঠুক জবাবে কামারের এক ঘা । এই ভোটের বাজারে প্রচারের আগুনে ঘি ।