রূপান্তরকামীদের কল্যাণে দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৫ জুন, ২০১৯
২০১১-র জনগণনার সময় ভারতের রেজিট্রার জেনারেল প্রথম তিনটি কোডের ব্যবহার করেন। এই তিনটি কোড হল- পুরুষ, মহিলা এবং অন্যান্য। এই অন্যান্য শ্রেণীর মানুষজনের মধ্যে রূপান্তরকামীরাও রয়েছেন। অতএব, কিছু কিছু রূপান্তরকামী মানুষ তাঁদের ইচ্ছানুসারে হয় পুরুষ না হয় নারীত্বে পৌছানোর প্রচেষ্টায় রয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী, দেশে ‘অন্যান্য’ শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা ৪,৮৭,৮০৩। রাজ্যের নিরিখে ২০১১-র জনগণনার ‘অন্যান্য’ শ্রেণীর মানুষজনের সংখ্যা সবথেকে বেশি রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। এই রাজ্যে ‘অন্যান্য’ শ্রেণীর মানুষজনের সংখ্যা- ৪৩,৭৬৯। এর পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। এখানে ‘অন্যান্য’ শ্রেণীর মানুষজনের সংখ্যা ৪০,৮৯১। এই ক্ষেত্রে তৃতীয় স্হানে রয়েছে বিহার। এখানে ‘অন্যান্য’ শ্রেণীর মানুষজনের সংখ্যা ৪০,৮২৭।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ‘অন্যান্য’ শ্রেণীর মানুষজনের সংখ্যা ৩০,৩৪৯। লাক্ষ্মাদ্বীপে সবথেকে কম সংখ্যক এ ধরণের মানুষজন রয়েছেন। এখানে ‘অন্যান্য’ শ্রেণীর মানুষজনের সংখ্যা মাত্র তিন।
কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ণ মন্ত্রক ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রূপান্তরকামী সমাজের সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালানোর জন্য ন্যাশনাল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস ফিনান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা এনবিসিএফডিসি ১ কোটি টাকা দিয়েছে। আজ লোকসভায় লিখিত জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী শ্রী রতনলাল কাটারিয়া।