চিঠি দিও প্রতিদিন – একটুকরো অনুভূতি আর নীল খামেরই মেলা
ড: পলাশ বন্দোপাধ্যায় , কলকাতা ,১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
বিপন্ন চিঠিকে আধুনিক সভ্যতা
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
আধুনিক সভ্যতার যুপকাষ্ঠে ভালোবাসা,আবেগ ও মনখারাপের লেখা চিঠিগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেছে।তার জায়গা নিয়েছে পাথুরে যান্ত্রিক ও জান্তব অনুভূতিহীন কথা বলার ভাষা।এ বড় দুঃসময়।…
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
যে চিঠিরা হারিয়েছে
আধুনিক সভ্যতার বস্তুবাদী ভিড়ে।
তাদের সে গান হাসি।
‘তোকে চাই।ভালোবাসি’।
লুকিয়ে আকাশ তলে
বেহিসাবি ছায়াপথে ঘোরে ফেরে আজ।
আবেগের সত্ত্বগুলো
সত্তাদের বুক থেকে উড়ু-ডানা ছিঁড়ে।
পথে বসিয়েছে তাকে।
যেরকম, বেঁচে থাকে।
তার ভাঙা সেতারের
সুরহীন প্রাণহীন মানব সমাজ।।
সেখানে জানালা ছিলো
সাতরঙা রামধনু জানতো সে কথা।
তাই,ধুলোখেলা যত।
উঁকি মেরে কত শত।
বলে যেত ঘরে ঢুকে
মেঘেদের পেঁজা দেহে অনেক কাহিনী।
ভোলা সেই চপলতা
অনায়াস শব্দ ঠাসা মায়া কথকতা।
চিঠির ভিতর থেকে।
থিতু হতো রেখে ঢেকে
ছায়াটে স্মৃতিতে বোনা
অভিমানী অধিকারে, সকলই তা জানি।।
তারপর ঝড় এলো
ঝড়েদের সাথে ঝরা বদলের ধারা।
জেতেনি তো কোনোকালে।
থেকে তাই অন্তরালে।
সমব্যথীদের ডেকে
আলুথালু ভিজে চোখে স্মৃতি ছুঁয়ে বলে।
‘যেখানে লড়াই মানে
সব বুঝে মেনে নিয়ে চুপি চুপি হারা।
সেখানে ঝড়ের শেষে।
ঝরা বড় একপেশে।
ধ্বংস হবে জেনে তবু
ধ্বংসকারী সাথে তারও ছেলেখেলা চলে।।
সভ্যতার ধ্বজাধারী
কেড়ে নিয়ে গেছে সব আহ্লাদের সাধে।
‘কেমন আছো’? ‘ ভালো আছি’।
দুইয়ে খেলে কানামাছি।
যন্ত্রের পরিসরে
মনখারাপের বাঁচা, শুধু টিকে থাকা।
চিঠি! তুমি বোঝো না এ?
হেরে যাওয়া জনে যদি,জয়ী যারা,বাঁধে।
ভুলে জয়ধারা’টাকে।
বিপন্ন বিজিত ডাকে।
কেউ যদি দয়া করে
পথে তোলে বসে যাওয়া ‘কর্ণের চাকা’!
তোমাকে আমার আরো
কত যে বলার আছে বাকি!
কোনোদিন ভাবিকালে।
জোয়ারের খেয়া পালে।
যবে তা দখল নেব-
স্বাধীনতা!সেই পানে শুধু চেয়ে থাকি।।
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
১৩.০৯.২০২০